ইন্টারনেট ব্যবহারে দেশে ৩ নম্বরে কলকাতা
বেঙ্গালুরু, চেন্নাইকে পিছনে ফেলে ইন্টারনেট ব্যবহারে দেশে তিন নম্বরে উঠে এল কলকাতা। ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সমীক্ষায় ধরা পড়েছে মহানগরীর এই কৃতিত্ব। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নয়া প্রজন্মের স্মার্ট ফোনের প্রতি ভালবাসা এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব বাড়াই এর কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কলকাতা: বেঙ্গালুরু, চেন্নাইকে পিছনে ফেলে ইন্টারনেট ব্যবহারে দেশে তিন নম্বরে উঠে এল কলকাতা। ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সমীক্ষায় ধরা পড়েছে মহানগরীর এই কৃতিত্ব। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নয়া প্রজন্মের স্মার্ট ফোনের প্রতি ভালবাসা এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব বাড়াই এর কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গোটা বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটই হয়ে উঠেছে আধুনিক প্রজন্মের যোগাযোগের মাধ্যম। অর্থনীতির বিচারে উন্নয়নশীল দেশ হলেও ইন্টারনেটের ব্যবহারে ভারত কিন্তু বেশ এগিয়ে, গোটা বিশ্বে তৃতীয়। তেমনি আবার ইন্টারনেটের ব্যবহারের দৌড়ে পাল্লা দিয়ে এগোচ্ছে কলকাতা। বেঙ্গালুরু, চেন্নাইয়ের মতো তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে এগিয়ে থাকা শহরকে পিছনে ফেলে ইন্টারনেট ব্যবহারে তিন নম্বরে উঠে এল কলকাতা। ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের অগ্রগতির বিচারে ঢের বেশি এগিয়ে থাকা বেঙ্গালুরুকে পিছনে ফেলে দেওয়া বড় কৃতিত্ব, মানছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত বছর ইন্টারনেট ব্যবহারে প্রথম পাঁচটি স্থানে ছিল মুম্বই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই এবং পশ্চিমবঙ্গ। এ বছর বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাইকে পিছনে ফেলেছে কলকাতা। মুম্বইয়ে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক কোটি চোষট্টি লক্ষ। দিল্লিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন এক কোটি একুশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার। কলকাতায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাষট্টি লক্ষ সত্তর হাজার। বেঙ্গালুরুতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ঊনষাট লক্ষ নব্বই হাজার। চেন্নাইয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন পঞ্চান্ন লক্ষ আশি হাজার মানুষ।
কেন এই অগ্রগতি? জনসংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে কলকাতা। নতুন প্রজন্মের স্মার্ট ফোন কেনার প্রবণতা বাড়ছে। কমদামি ফোনেও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। মোবাইল পরিষেবা সংস্থাগুলি অল্প খরচে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুবিধা দিচ্ছে।