উপসর্গহীন করোনা রোগীদের চিহ্নিতকরণে সুবিধে, এবার পুরকর্মীদের হাতে থাকবে পালস অক্সিমিটারও
শহরে সংক্রমণ বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে দুটি স্টেডিয়ামকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে
অয়ন ঘোষাল
শহরাঞ্চলে এমন করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে যাদের কোনও উপসর্গ নেই। ফলে শুধুমাত্র থার্মাল গানের সাহায্যে তাদের দেহের তাপমাত্রা মেপে কোভিড টেস্ট করতে পাঠানো যাচ্ছে তা। তাই এবার কলকাতা পুরসভার কর্মীদের হাতে থার্মাল গানের পাশাপাশি দেওয়া হবে পালস অক্সিমিটারও। ওই দুই যন্ত্র হাতেই এবার কলকাতা পুরসভার কর্মীরা যাবেন বিভিন্ন বস্তি, কলোনি ও আবাসনে।
আরও পড়ুন-শেষ হল প্রথম ট্রায়াল! ৩৭৫ জনের উপর প্রয়োগ করা হল ভারতের প্রথম করোনা টিকা Covaxin!
পালস অক্সিমিটার শরীরের বেশ কিছু বিষয় চিহ্নিত করবে। এলাকা পরিদর্শনে যাওয়া স্বাস্থ্যকর্মী ও ডাক্তার বাবুদের এতে বুঝতে সুবিধা হবে। চিহ্নিত করতে সুবিধা হবে উপসর্গহীন আক্রান্তদের। ফলে তাদের টেস্ট হবে দ্রুত। টেস্টের সংখ্যা বাড়বে। পরিস্থিতি দ্রুত আয়ত্বে আনা যাবে, বা নেওয়া যাবে প্রযোজনীয় প্রশাসনিক ব্যাবস্থা।
উল্লেখ্য, কলকাতার বস্তি এলাকায় এখনও সংক্রমণের হার আবাসন বা ফ্ল্যাট বাড়ির তুলনায় লক্ষণীয় ভাবে কম । কেএমসি এলাকায় ভারপ্রাপ্ত নোডাল অফিসাররা এনিয়ে খানিকটা হলেও স্বস্তিতে। কলকাতা পুরসভা আপাতত মাত্র ২০টি অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে কাজ চালায়। এই পরিকাঠামো পর্যাপ্ত নয়। শহরে পুরসভার হাতে আরো বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স আসছে। আসছে কোভিড ডেডিকেটেড অতিরিক্ত আরও কিছু শববাহী শকট।
আরও পড়ুন-তিন মাসেই তৈরি হবে অক্সফোর্ডের করোনা টিকার লক্ষাধিক ডোজ! জানিয়ে দিল সিরাম ইনস্টিটিউট
এদিকে, শহরে সংক্রমণ বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে দুটি স্টেডিয়ামকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামকে ৩-৪ চার দিনের মধ্যে কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে তৈরি করে ফেলা যাবে। আগামী দিন দশেকের মধ্যে রেডি হয়ে যাবে যাদবপুর কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম।