রেলমন্ত্রকের ঘর ছেড়ে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়নের দফতরের হাতে যাওয়ার পথে কলকাতা মেট্রো
কলকাতা মেট্রোর কি হাতবদল হতে চলেছে? রেলমন্ত্রকের ঘর ছেড়ে কেন্দ্রের নগরোন্নয়নে দফতরের হাতে যাচ্ছে মেট্রোর নিয়ন্ত্রণ। বাজেটের পর এই সম্ভাবনা আবার সামনে উঠে এসেছে।
কলকাতা মেট্রোর কি হাতবদল হতে চলেছে? রেলমন্ত্রকের ঘর ছেড়ে কেন্দ্রের নগরোন্নয়নে দফতরের হাতে যাচ্ছে মেট্রোর নিয়ন্ত্রণ। বাজেটের পর এই সম্ভাবনা আবার সামনে উঠে এসেছে।
গত দশ বছর ধরে বেহালার এটাই যেন চেনা ছবি। মেট্রোর কাজ হচ্ছে তো হচ্ছেই। কবে শেষ কেউ জানে না। কী কারণে এই দুরাবস্থা? টাকার অভাব? একেবারেই না। দুহাজার বারো -তের সালে মেট্রোর কাজ করতে না পারায় ফেরত গিয়েছিলে আটশ সত্তর কোটি টাকা। আসলে কিছু আইনি জটিলতা আর পরিকল্পনার অভাবেই এতদিন মেট্রোর কাজ চলেছে খুঁড়িয়ে খুড়িয়ে। তাহলে এর শেষ কোথায়? একমাত্র কলকাতা মেট্রো রয়েছে রেলমন্ত্রকের আওতায়। দিল্লির মেট্রো কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণে। তাহলে কী এবার কলকাতা মেট্রোর দফতর বদল হতে চলেছে? মেট্রো, রেলমন্ত্রক থেকে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দফতরের হাতে গেলে কী সুবিধে হবে মেট্রোর?
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে কিছু ইতিবাচক দিক অবশ্যই আছে।
এতদিন রাজ্য সরকার এবং রেলমন্ত্রকের বিরোধে থমকে গেছে প্রকল্পের কাজ। রেলের বদলে নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের হাতে গেলে এই জটিলতা হয়তো কমবে।
এখ নও পরিকাঠামোর দিক থেকেও অনেকটাই এগিয়ে নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। ফলে কাজের ক্ষেত্রে এটা অবশ্যই ইতিবাচক দিক।
প্রকল্প রূপায়নে বিশ্ব ব্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন সংস্থার অর্থ লগ্নির ক্ষেত্রে নগরোন্নয়ন মন্ত্রক অনেকবেশি সুবিধেজনক অবস্থানে। মত বিশেষজ্ঞদের।
অসুবিধে কোথায় ?
মেট্রোর খরচ প্রচুর। মেট্রো লোকসানে চললেও অনেকসময় রেলের অন্য প্রকল্পের লাভ দিয়ে পুষিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মেট্রো কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের হাতে গেলে মেট্রোকে সতন্ত্রভাবে লাভজনক অবস্থায় নিয়ে যেতে হবে। ফলে চড়া হতে পারে টিকিটের দাম। কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।