কলকাতাকে নীলসাদা করলেই মিলবে কর ছাড়, ধন্দে শহরবাসী এটা `গিফট` না `সরকার গৌরী সেন হওয়ার পথে`!
বাড়ির রঙ করুন নীল সাদা। তাহলেই মিলবে করছাড়। দিতে হবে না একবছরের পুরকর। কেউ বলছেন,ভালই তো। এটা পুরসভার গিফট। একটু পোড়খাওয়ারা প্রশ্ন তুলছেন,করছাড় তো ভালই। কিন্তু রঙ করানোর খরচ দেবে কে? পুরসভা? আরও এগিয়ে একদলের বক্তব্য, করছাড়ে পুরসভার আয় যে কমবে, সেই টাকা যোগাবে কে? তখন সারদাকাণ্ডের মতো সরকারই কি হয়ে উঠবে গৌরী সেন?
বাড়ির রঙ করুন নীল সাদা। তাহলেই মিলবে করছাড়। দিতে হবে না একবছরের পুরকর। কেউ বলছেন,ভালই তো। এটা পুরসভার গিফট। একটু পোড়খাওয়ারা প্রশ্ন তুলছেন,করছাড় তো ভালই। কিন্তু রঙ করানোর খরচ দেবে কে? পুরসভা? আরও এগিয়ে একদলের বক্তব্য, করছাড়ে পুরসভার আয় যে কমবে, সেই টাকা যোগাবে কে? তখন সারদাকাণ্ডের মতো সরকারই কি হয়ে উঠবে গৌরী সেন?
পরিবর্তনের পর মুখ্যমন্ত্রীর মনের রঙে সাজানো হয়েছিল শহরের পার্ক,রেলিং, এবার গোটা শহরটাকেই নীল-সাদায় সাজাতে চাইছেন তিনি। কিন্তু এমন অভিনব ভাবনায় শহরবাসীরা বেশ মজার ছলে দেখছেন। অনেকে বললেন, এই শহরে এমন বাসিন্দাও রয়েছেন যার বাড়ির রঙ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার আগে থেকেই নীল-সাদা। তিনি এতদিন ট্যাক্স দিয়েও এসেছেন। শুধুমাত্র বাড়ির রঙ নীল-সাদা হওয়ার ফলে ট্যাক্স মকুবের যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের নীল সাদা রঙে অন্য রঙে তুলি টনালেন রাজনৈতিক নেতারা। এই ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা করেছে বাম থেকে বিজেপি। পুরসভা যখন দেউলিয়া, তখন এত ছাড় কিসের জন্য, প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি সভাপতি রাহুল সিনহা। সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি কংগ্রেস কাউন্সিলর মালা রায়।
মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের রঙে বাড়ি রাঙালে মিলবে কর ছাড়। পুরসভার এই সিদ্ধান্ত সামনে আসতেই নানা মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলছেন এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।