Tapas Saha: টাকা নিয়ে সরকারি দফতরে চাকরি, আরও এক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত
বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন,'এই দুর্নীতিতে অনেক টাকার লেনদেনের বিষয় সামনে এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফের রাজ্যের একজন ক্ষমতাশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। একজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে তদন্ত। এই জায়গায় তদন্ত স্বচ্ছ থাকা প্রয়োজন মানুষের কাছে।'
অর্ণবাংশু নিয়োগী: আরও এক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। বিধায়কের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে সরকারি বিভিন্ন দফতরে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ। আর সেই অভিযোগেই এবার বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাপস সাহা তেহট্টের বিধায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা তোলার অভিযোগ। টাকা নিয়ে সরকারি বিভিন্ন দফতরে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
তবে তাপস সাহা একা নন। মূল অভিযুক্ত তাপস সাহা হলেও, আরও তিনজন অভিযুক্ত আছে। যাদের গ্রেফতার করেছে রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখা। তাদের বয়ানেও বিধায়ক তাপস সাহার নাম উঠে আসে। এক অভিযুক্ত জানান, শুধু বিধায়কের বেতন নয়, তাঁর হাত দিয়ে টাকার লেনদেনও দেখভাল করতেন তিনি। এরপরই এদিন আদালতে এই মামলায় রাজ্য পুলিসের তদন্তের বিরোধিতা করে সিবিআই। সিবিআই দাবি করে, নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্ত যেহেতু সিবিআই করছে, তাই একই মামলা রাজ্য পুলিস তদন্ত করতে পারে না। সিবিআই জানায়, 'আমরা তদন্তভার নিতে প্রস্তুত। একই মামলা রাজ্য পুলিস তদন্ত করতে পারে না। নিয়োগ দুর্নীতির মামলা তদন্ত সিবিআই করছে।' যে দাবিতে সহমত পোষণ করেন বিচারপতি। সম্মতি দেন সিবিআই তদন্তের।
বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন,'এই দুর্নীতিতে অনেক টাকার লেনদেনের বিষয় সামনে এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফের রাজ্যের একজন ক্ষমতাশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। একজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে তদন্ত। এই জায়গায় তদন্ত স্বচ্ছ থাকা প্রয়োজন মানুষের কাছে। এখন নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত করছে। চার্জশিট জমা দিয়েছে। যদি এই অবস্থায় দুটো সংস্থা তদন্ত করে, যেখানে অপরাধ প্রায় সমান, সেখানে সমস্যা আসতে পারে। তাই সিবিআই তদন্তভার নেবে। তারা তদন্ত করবে। রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তকারী অফিসার কেস ডায়েরি-সহ সব তথ্য সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করবে।'
আরও পড়ুন, Jiban Krishna Saha: 'মাসে মাসে ওষুধ কেনার টাকা পাঠাত', প্রিয় ছেলে জীবনের গ্রেফতারিতে চোখে জল মায়ের