ECI-র বিরুদ্ধে মামলা খারিজ, হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন
২০০৫ সালের শিশু সুরক্ষা অধিকার আইনে জাতীয় ও রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের হাতে একাধিক ক্ষমতা দেওয়া আছে। এক্ষেত্রে রাজ্য কমিশন সেরকম কিছু করেছে বলে মনে হচ্ছে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন : "নিজের ক্ষমতা এবং কর্তব্য সম্পর্কে ওয়াকিবহল থাকবেন। নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে নির্দিষ্ট সুপারিশ নিয়ে তারপর আদালতে দ্বারস্থ হবেন।" সোমবার হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন চেয়ারপার্সনের দায়ের করা মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট।
মামলাটি খারিজ করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। আট দফায় বিধানসভা ভোটের কারণে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বহু শিশু প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই অভিযোগে মামলা করেছিলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন। পাশাপাশি বহু শিশুর মৃত্যুর হয়েছিল বলেও মামলায় দাবি করা হয়।
যদিও হাইকোর্ট মামলাটি খারিজ করে তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন যে শিশুদের মৃত্যু হয়েছিল, তার কারণ খুঁজে বার করতে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন কোনও মিটিং ডাকেননি। হাইকোর্টের বক্তব্য, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের গাফিলতির কারণে শিশুমৃত্যু হয়েছে কিনা তা অনুসন্ধান করে দেখার সুযোগ রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের ছিল। অনুসন্ধানের পর যদি শিশু সুরক্ষা কমিশন নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কারও গাফিলতি খুঁজে বের করতে পারত, তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগ তাদের ছিল।
ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ২০০৫ সালের শিশু সুরক্ষা অধিকার আইনে জাতীয় ও রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের হাতে একাধিক ক্ষমতা দেওয়া আছে। শিশুদের অধিকার খর্ব হলে তারা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারে। তদন্ত বা অনুসন্ধান করার ক্ষমতা কমিশনের আছে।
এক্ষেত্রে রাজ্য কমিশন সেরকম কিছু করেছে বলে মনে হচ্ছে না। যখন রাজ্য কমিশনের হাতে ক্ষমতা আছে তখন আদালত প্রত্যাশা করে যে রাজ্য কমিশন প্রথমে শিশু মৃত্যুর তদন্ত করবে। তারপর তাদের সুপারিশ যদি রাজ্য মেনে না নেয় সেক্ষেত্রে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবে।
আরও পড়ুন, Suvendu Adhikari: শুভেন্দুকে শাহের তলব, অর্জুনের 'ফুল'বদলে নয়া দায়িত্বে BJP বিধায়ক