Jadavpur University: যাদবপুরে সিসিটিভি থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, বড় নির্দেশ হাইকোর্টের
এদিন আদালতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ জানায় যে, ছাত্র সংসদ মেয়াদ শেষ। নির্বাচন হয়নি। যার পরিপ্রেক্ষিতেই ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে বড় নির্দেশ দিল আদালত।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসাতে আপত্তি নেই পড়ুয়াদের। এমনটাই দেখলাম সংবাদ মাধ্যমে। যাদবপুরকাণ্ডে পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির। তাড়াতাড়ি সিসিটিভি বসানোর বন্দোবস্ত করার জন্য এদিন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি। একইসঙ্গে এদিন প্রধান বিচারপতি আরও নির্দেশ দেন যে, হস্টেলের রুমে ঘুরে ঘুরে পাস আউটদের খুঁজে বার করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে, যাতে তারা হস্টেল ছেড়ে দেন। উল্লেখ্য, যাদবপুরকাণ্ডে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানোর পক্ষে সওয়াল করে এবং হস্টেল থেকে পাস আউটদের বিতারণের দাবিতে মামলা করেছিলেন টিএমসিপি সহ সভাপতি সুদীপ রাহা। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন সিসিটিভি ও হস্টেল নিয়ে কড়া নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি। পাস আউটদের হস্টেলে থাকা মেনে নেওয়া যায় না বলে এদিন আদালতে সওয়াল করেন আর্টস বিভাগের প্রতিনিধিদের আইনজীবী। পাশাপশি, আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দায়ের করা ছাত্র সংসদের নির্বাচন ও অ্যান্টি Ragging কমিটি ও স্কোয়াড সংক্রান্ত মামলাতেও এদিন বড় নির্দেশ দিল আদালত।
প্রসঙ্গত, এদিন আদালতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ জানায় যে, ছাত্র সংসদ মেয়াদ শেষ। নির্বাচন হয়নি। যার পরিপ্রেক্ষিতেই ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে বড় নির্দেশ দিল আদালত। প্রধান বিচারপতি জানতে চান, রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে সময়মতো ছাত্র সংসদ নির্বাচন করানোর জন্য কোনও নির্দেশিকা কি জারি করেছে রাজ্য? একইসঙ্গে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে Anti - Ragging কমিটি এবং Anti - Ragging স্কোয়াড গঠনের কি কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে? সম্পূর্ণটাই হলফনামা দিয়ে জানাতে রাজ্যকে এদিন নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি জানান, নির্বাচন সংক্রান্ত নির্দেশিকা রাজ্য না দিয়ে থাকলে, সেটা আদালত দেবে। রাজ্যের অনুমোদন নিয়ে সমস্ত নিয়ম মেনে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করাতে হবে। এই মর্মে নির্দেশ দেবে আদালত। Anti - Ragging স্কোয়াড না থাকলে সেটাও গঠন করার নির্দেশ আদালত দেবে।
উল্লেখ্য, এদিন আদালতে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানো ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সওয়াল করা হয় যে, ছাত্ররা যাতে সব রকমভাবে সাহায্য করে এটা বলা দরকার। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আরও বলা হয়, ২০১৬-র পর থেকে ইউজিসি টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার বেতন দিচ্ছে। কিছু রিজার্ভ ফান্ড থেকে চালানো হচ্ছে। বর্তমানে রাজ্য সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্মের জন্য টাকা বরাদ্দ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই আদালত জানায় যে, কোথাও এমনটা মনে হয়নি যে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসাতে আপত্তি আছে পড়ুয়াদের। তাই সেই বন্দোবস্ত করতে হবে কর্তৃপক্ষকে।