ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী, জোর করে গর্ভপাতও! হরিদেবপুরকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর বয়ান নির্যাতিতা নাবালিকার
গ্রেফতার করা হয়েছে হোমের মালিক, প্রিন্সিপাল ও রাঁধুনিকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, পকসো-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হরিদেবপুরের ঘটনায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়ে হরিদেবপুরের এক নির্যাতিতা নাবালিকা। তারপর জোর করে তার গর্ভপাতও করানো হয়। হরিদেবপুরের নির্যাতিতা ৩ নাবালিকার মধ্যে একজন চাইল্ড রাইটস কমিশন সহ পুলিসের কাছে দেওয়া বয়ানে এমনই গুরুতর অভিযোগ করেছে। ওই নাবালিকার অভিযোগ করেছে যে, ধর্ষণের জেরে একবার সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। তখন গোপনে তার গর্ভপাত করানো হয়। এই অভিযোগ সামনে আসার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই বিষয়ে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য আজ ৩ নাবালিকারই ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে।
প্রসঙ্গত, কলকাতার হরিদেবপুরে এক হোমে ২ নাবালিকাকে ধর্ষণ, আর ১ জনের শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে! অভিযোগ দায়ের করা হয় শিশু সুরক্ষা কমিশনে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে হোমের মালিক, প্রিন্সিপাল ও রাঁধুনিকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, পকসো-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস। স্থানীয় সূত্রে খবর, হরিদেবপুরের ওই হোমটি বেসরকারি। হোমে যারা থাকে, তারা সকলেই দৃষ্টিহীন। শুধু তাই নয়, আবাসিকদের জন্য় রয়েছে একটি স্কুলও। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই হোমের বিরুদ্ধে নানা বেআইনি কাজকর্ম চলছিল। নির্যাতনের শিকার হত নাবালিকারা! কিন্তু ভয়ে মুখ খুলত না কেউ।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই হোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় শিশু সুরক্ষা কমিশনে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হোমে হানা দেয় হরিদেবপুর থানার পুলিস। তখনই পুলিসের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ করে ২ দৃষ্টিহীন নাবালিকা। আর একজন বলে, তার শ্লীলতাহানি করা হয়েছে! এরপরই হোমের মালিক, অধ্যক্ষ ও রাঁধুনিকে আটক করে পুলিস। পরে গ্রেফতার করে মালিক ও অধ্যক্ষকে। পাশাপাশি, আবাসিকদের সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এক নাবালিকা মালিক জীবেশ দত্তের বিরুদ্ধেও তার উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছে। পাশাপাশি মালিক ও অধ্যক্ষ, রাঁধুনি বাবলু কুণ্ডু একাধিক নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন করছে জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি । কেবল তাঁকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিস।
হোমের এক কর্মী জানিয়েছেন, মালিকের সঙ্গে ঝামেলা হয় রাঁধুনি বাবলু কুণ্ডুর। যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পেয়েছিল বলেই তাকে গত মার্চ মাসে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, হরিদেবপুর হোমের আবাসিকদের স্কুলটি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টের রাইট টু পার্সনস উইথ ডিসএবিলিটি অ্যাক্টের আওতায় রেজিস্টার্ড। মাস এডুকেশন এবং রাইট টু পার্সন উইথ ডিসএবিলিটির গাইডলাইন মানতে বাধ্য এই আবাসিক স্কুল।
আরও পড়ুন, Siliguri Rape: হাতে ৫ টাকা দিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ! শিলিগুড়িতে গ্রেফতার প্রৌঢ়