বৃষ্টিতে বোঝাই যাচ্ছে না বাইপাসে কোনটা জমি আর কোনটা নদী
রুবি মোড় থেকে পাটুলি মোড়। বাইপাসের দুধারে রঙচঙে কত না আবাসন। একেবারে জমজমাট নাগরিক জীবন। কিন্তু একদিনের ভারী বৃষ্টিতেই জলভাসি এই সব এলাকা। সাতদিনের আগে জল নামার সম্ভাবনা নেই। কেন? কারণ বাইপাসই এসব এলাকার মরণফাঁদ।
ওয়েব ডেস্ক: রুবি মোড় থেকে পাটুলি মোড়। বাইপাসের দুধারে রঙচঙে কত না আবাসন। একেবারে জমজমাট নাগরিক জীবন। কিন্তু একদিনের ভারী বৃষ্টিতেই জলভাসি এই সব এলাকা। সাতদিনের আগে জল নামার সম্ভাবনা নেই। কেন? কারণ বাইপাসই এসব এলাকার মরণফাঁদ।
জমি হয়ে গেছে নদী। বৃষ্টিতে জমা জলের দুর্ভোগে বাইপাস সংলগ্ন এলাকা। হাঁটুজলে ডুবে সন্তোষপুর, অজয়নগর, ছিটকালিকাপুর, মুকুন্দপুর, পাটুলি, ভিআইপি বাজার।
সপ্তাহখানেকের আগে জল নামারও সম্ভাবনা নেই। কলকাতা পুরসভার ১০৯, ১০৮, ১০৭ নম্বর সহ ১০০ ওয়ার্ডের বেশ কিছু অংশ এখনও জলের তলায়। শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টি বিরতির জেরে শহরের অন্যান্য জায়গায় জল নামলেও বাইপাস আছে বাইপাসেই। কিন্তু কেন এই শোচনীয় অবস্থা?
দুহাজার আট সালে বাইপাসের ধারে শুরু হয় নগরায়ন প্রক্রিয়া। বাইপাসের রাস্তা মাটি ফেলে উঁচু করায় নীচু হয়ে যায় পার্শবর্তী এলাকা। বুজিয়ে দেওয়া হয় এলাকার ছোটখাট খাল। সমস্যার মোকাবিলায় এল বিআরটিএস প্রকল্প। কথা ছিল এই এলাকায় রাস্তার নিচ দিয়ে তৈরি হবে ভূগর্ভস্থ নিকাশি। তবে মাঝপথেই থমকে বিআরটিএসের কাজ। তৈরি হয়নি ভূগর্ভস্থ নিকাশিও।
গত কয়েকবছরে বাইপাসের দুধারে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বহুতল ও বাড়ির সংখ্যা। নির্বিচারে বোজানো হয়েছে জলাজমি, পুকুর, খাল। বৃষ্টির জল জমার জায়গা কিংবা বেরোনোর বেশিরভাগ রাস্তাই এখন বন্ধ। অতএব বৃষ্টি কমলেও জল নামে না। চরম জল যন্ত্রণায় ভুগতে হয় বাইপাসের দুধারের বাসিন্দাদের।