ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়, কোভিশিল্ড নয় দেওয়া হয় Amikacin অ্যান্টিবায়োটিক
উদ্ধার ওষুধের প্রচুর ভায়েল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভুয়ো ভ্য়াকসিন কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ক্যাম্পে যে টিকা দেওয়া হয়েছে, তা কোভিশিল্ড নয়। ওটি আসলে অ্যামিকাসিন (Amikasin) নামে এক ধরনের অ্য়ান্টিবায়োটিক। যা মূলত পেটের রোগ নিরাময়ে ব্যবহার হয়। এই অ্য়ান্টিবায়োটিক অতিরিক্ত ব্যবহার করলে কান ও কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের বাড়ি থেকে প্রচুর ভায়েল উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। মূলত কোভিশইল্ডের ভায়েল ৫ মিলিগ্রামের হয়, তবে এটা দুই মিলিগ্রামের ছিল। ফলে তদন্তকারীদের সন্দেহ হয়। বাজেয়াপ্ত করা ভায়েলের উপরে লাগানো কোভিশিল্ডের লেভেল তুলে ফেলতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। বেরিয়ে আসে Amikasin-এর নাম। এমনকি কসবার ক্যাম্প থেকেও যে ভায়েল বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তার লেভেল সরিয়েও পাওয়া গিয়েছে Amikasin-এর নাম। কসবার এই ক্যাম্পেই টিকা নিয়েছিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। এছাড়া এই ঘটনায় আজ কসবার তদন্তে নামে ফরেনসিক দলও। কসবার ক্যাম্প তেকে সমস্ত ভায়েল উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য পাঠান তাঁরা।
এই ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে সরলা মাইক্রো ফিনান্স নামে একটি কোম্পানির। আজ কলকাতা কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এই কোম্পানি। তাঁদের অভিযোগ, দেবাঞ্জন দেবকে এক লক্ষেরও বেশি টাকা দিয়েছিল তাঁরা। নিজেদের কোম্পানির ১৫০-র বেশি কর্মীর টিকাকরণের জন্য সেই টাকা ধৃতকে দিয়েছিল তাঁরা। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে সেই টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছিল। অভিযোগ, এক্ষেত্রেও মারাত্মক জালিয়াতির করেছে ধৃত। কলকাতা কর্পোরেশনের নামে কসবার একটি ঠিকানা ব্য়বহার করে একটি ভুয়ো ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে সেই টাকা নিয়েছিল দেবাঞ্জন দেব।
আরও পড়ুন: PAC চেয়ারম্যান পদে Mukul Roy-এর মনোনয়ন বাতিলের দাবি, অধ্যক্ষকে চিঠি বিজেপির
আরও পড়ুন:আগে উপনির্বাচন করানোর কথা বলুক, পুরভোট সময়মতো ঠিক করে দেব: Mamata