এক মাসে ৩টে দুষ্কৃতী তাণ্ডব শহরে, প্রশ্ন নিরাপত্তা নিয়ে

শহরে একের পর এক দুষ্কৃতী তাণ্ডব। কখনও শর্ট স্ট্রিট, কখনও লেকটাউন, কখনও আবার হামলা চলছে দিনে দুপুরে লেক মার্কেটের বাড়িতে। অবাধে খুন হচ্ছেন প্রৌঢ়। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে শহরে নিরাপত্তা কোথায় ?

Updated By: Nov 20, 2013, 10:23 PM IST

শহরে একের পর এক দুষ্কৃতী তাণ্ডব। কখনও শর্ট স্ট্রিট, কখনও লেকটাউন, কখনও আবার হামলা চলছে দিনে দুপুরে লেক মার্কেটের বাড়িতে। অবাধে খুন হচ্ছেন প্রৌঢ়। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে শহরে নিরাপত্তা কোথায় ?
১১ নভেম্বর, শর্ট স্ট্রিট:
 
১১ নভেম্বর সাত সকালে ঘুম ভেঙে চমকে উঠেছিল কলকাতা। টেলিভিশনে চোখ রেখে জানতে পেরেছেন শর্ট স্ট্রিটের মতো অভিজাত এলাকায় মহিলার ছোঁড়া রাইফেলের গুলিতে দুই যুবকের মৃত্যুর ঘটনা। ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়েছে কীভাবে রাতের অন্ধকারে জমি দখলের বেপোরোয়া চেষ্টা চালিয়েছিল একদল যুবক। গোটা ঘটনা ঘটেছিল পুলিস কমিশনারের বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরে। জমি দখল রুখতে নার্সারি স্কুলের প্রিন্সিপাল মমতা আগরওয়ালের তরফে চলে গুলি।
 
১৫ নভেম্বর, লেকটাউন:
 
চারদিন পর। শর্টস্ট্রিটে রক্তের দাগ তখনও শুকোয়নি। সাতসকালে ফের গুলির আওয়াজে কেঁপে ওঠে লেকটাউন শ্যামনগরের হরিজনপল্লি। লেকটাউন থানা থেকে দশ মিনিটের দূরত্বে দুই দুষ্কৃতী দলের মধ্যে অবাধে চলে গুলির লড়াই। গুলিতে মৃত্যু হয় এক দুষ্কৃতীর। গুলিবিদ্ধ হন আরও একজন। যে মহিলাকে নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত, দুষ্কৃতীদের ধারালো অস্ত্রের  আঘাতে গুরুতর জখম হন তিনিও।
 
২০ নভেম্বর, লেক মার্কেট:
 
শর্টস্ট্রিট কাণ্ডের দশদিন কাটতে না কাটতেই লেকমার্কেটে প্রৌঢ় খুনের ঘটনায় শিউড়ে ওঠে শহরবাসী। এবারে একেবারে দিনে দুপুরে শহরের অভিজাত এলাকার বাড়িতে চড়াও হয়ে খুন করে যায় দুষ্কৃতীরা। প্রাথমিকভাবে লুঠপাটের উদ্দেশ্যের কথা মনে হলেও বাড়ি থেকে কিছু খোয়া না যাওয়ায় খুনের কারণ নিয়ে ধ্বন্দ বাড়ে। উঠে আসে এলাকায় প্রোমোটাররাজের বেপরোয়া বাড়বাড়ন্তের দিকটিও।
 
শর্টস্ট্রিট, লেক টাউনের পর লেক মার্কেট। দশ দিনে পর পর তিনবার বড়সড় দুষ্কৃতী তাণ্ডব আর প্রাণহানি প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল মহানগরের নিরাপত্তা নিয়ে।

 

.