Ration Scam | Jyotipriya Mallick: বাকিবুরকে চিনতাম; প্রায় ১০ ঘণ্টা পর ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে বললেন জ্যোতিপ্রিয়র আপ্তসহায়ক

Ration Scam | Jyotipriya Mallick: ইডির তলব পেয়ে শনিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির অফিসে হাজির হন অমিত দে। তার পর থেকেই প্রায় টানা ১০ ঘণ্টা চলে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব

Updated By: Oct 28, 2023, 10:17 PM IST
Ration Scam | Jyotipriya Mallick: বাকিবুরকে চিনতাম; প্রায় ১০ ঘণ্টা পর ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে বললেন জ্যোতিপ্রিয়র আপ্তসহায়ক

নান্টু হাজরা: প্রায় ১০ ঘণ্টা ম্য়ারাথন জিজ্ঞাসবাদের পর ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে এলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্তসহায়ক অমিত দে। রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার বাকিবুর রহমানকে যে তিনি চিনতেন তা অস্বীকার করেননি অমিত। ইডির অফিস থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তরে বলেন, বাকিবুর রহমানকে তিনি চিনতেন।

আরও পড়ুন- প্রাক্তন আপ্তসহায়ককে আমার নাম বলতে চাপ দেওয়া হচ্ছে, এ কেমন অত্যাচার! সরব সুজিত

ইডির তলব পেয়ে শনিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির অফিসে হাজির হন অমিত দে। তার পর থেকেই প্রায় টানা ১০ ঘণ্টা চলে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে তল্লাশি করে বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে ইডি। গতকালও তিনি ইডির দফতরে এসেছিলেন। কিন্তু ইডির অফিসাররা ব্যাস্ত থাকায় কোনও জিজ্ঞসাবাদ হয়নি। আজ তাঁকে ম্যারাথন জেরা করেন ইডির আধিকারিকরা।

শনিবার ইডির অফিস থেকে বেরিয়ে অমিত দে বলেন, দুর্নীতি মামলা নিয়ে আমাকে কিছু বলা হয়নি। জ্যোতিপ্রিয়বাবুর ঘনিষ্ঠ বলে আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে আমি কিছু জানি কিনা। বাকিবুর রহমানের সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ ছিল না। তবে আমি ওকে চিনতাম। উনি জ্যোতিপ্রিয়বাবুর অফিসে আসতেন। ডিপার্টমেন্টে যেভাবে সবাই আসতো উনিও সেভাবেই আসতেন।

এদিকে, রেশন দুর্নীতির তদন্তে আজ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টেও ফ্রিজ করা হল। মোট ১৬ কোটি টাকা ফ্রিজ করা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, জ্যোতিপ্রিয়, তাঁর আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে দুর্নীতির টাকা ঢুকেছে বলে তারা সন্দেহ করছেন। সেই কারণেই ওইসব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। ইডির নজরে বর্তমানে যেসব বিষয় রয়েছে তা হল একাধিক বেনামি অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তি। এনিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। জানা যাচ্ছে বহু জায়গায় বিপুল টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। অন্য অনেকের অ্যাকাউন্ট বা ব্যবসা ব্যবহার করে টাকা সরানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অভিযোগ বিভিন্ন লোক, সেল কেম্পানিকে টাকা সরাতে ব্যবহার করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন  মানুষজনকে জেরা করছে ইডি।

রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে দুই এজেন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এদের হোয়াটসঅ্যাপে নজর এবার ইডির। একজনের চ্যাটের মধ্যমে জানা গিয়েছে তিনি মন্ত্রীকে ৬৮ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। অন্য একজন ১২ লাখি ভেট দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সুপারিশে একজনের কৃষি দফতরে চাকরি পেয়েছিলেন বলেও জানা যাচ্ছে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.