Kasba School Student Death: কসবায় স্কুলপড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুতে অধ্যক্ষ সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, 'এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। কোনও স্কুল-ই কখনও তার পড়ুয়াদের কাউকে টার্গেট বানায় না। তাদের হেনস্থা করে না। আমাদের স্কুল বাচ্চাদের প্রতি দরদী, যত্নশীল।'
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কসবায় স্কুলপড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ৩০২ ধারায় খুনের মামলা দায়ের। স্কুলের অধ্যক্ষ সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ। ১২০ বি ধারায় ষড়যন্ত্রের মামলাও দায়ের। দশম শ্রেণির ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় মৃতের বাবা স্কুলের বিরুদ্ধে কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। স্কুলের অধ্যক্ষ, সহ-অধ্যক্ষ ও ২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ষড়যন্ত্র করে তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিস।
কানে, মুখে রক্ত ছিল। স্কুলের দাবি, কার্নিশে হাঁটার সময় পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা। বাড়ির লোকের দাবি, অত উঁচু থেকে পড়লে ঘাড় সহ অন্যান্য জায়গায় আঘাত থাকবে। এক্ষেত্রে তা নেই। সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে। কাল দুপুর ২টো ৫ থেকে ২টো ২১ পর্যন্ত ফুটেজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিক ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সেই সময় করিডোর দিয়ে একাই হাঁটছিল সে। তারপর কী ঘটল? সেখানেই ধোঁয়াশা। দানা বেঁধেছে সন্দেহ। কাছেই বড় বেসরকারি হাসপাতাল। কিন্তু সেখানে নিয়ে যেতেও প্রায় ২ ঘণ্টা দেরি? কেন দেরি স্কুলের? প্রশ্ন তুলেছেন মৃত ছাত্রের বাবা। করোনা কালে স্কুল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদের অন্যতম প্রধান মুখ এই ছাত্রের বাবা। তাঁর অভিযোগ, তখনই স্কুল তাঁকে হুমকি দিয়েছিল যে, তাঁকে চিনে রাখা হল! বাবার দাবি, এইভাবেই তাঁর ছেলেকে খুন করে বদলা নিল স্কুল! তদন্তে নেমে সব দিক-ই খতিয়ে দেখছে পুলিস।
আজ ময়নাতদন্ত হবে মৃত ছাত্রের। এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার জন্য অপেক্ষা করছে পুলিস। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে বলে মনে করেছে পুলিস। ওদিকে পুলিস সূত্রে খবর, কালকে পুলিস অনেক পরে খবর পেয়ে যখন স্কুলে যায়, তখন সেখানে কোনও ছাত্র ছিল না। তাই ওই তলায় যে ক্লাস চলছিল, সেখানকার ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে পারেনি পুলিস। একইসঙ্গে মৃত ছাত্রের বন্ধুদেরও পায়নি পুলিস। আজকে তাই সবার নাম, ঠিকানা নিয়ে তারপর ওই ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করবে পুলিস। স্কুলের শিক্ষিকাদের সঙ্গেও কথা বলবেন তদন্তকারীরা। এদিকে এই ঘটনার পর এদিন স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বদলে দিতে পারেন স্কুলের প্রভাবশালীরা। এক ছাত্রীর বাবা জানান, তাঁর মেয়ে আগে এই স্কুলে পড়লেও, বিভিন্ন বিষয়ে অসন্তোষের কারণে তিনি তাঁর মেয়ের স্কুল বদলে দিয়েছেন।
যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, 'এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। কোনও স্কুল-ই কখনও তার পড়ুয়াদের কাউকে টার্গেট বানায় না। তাদের হেনস্থা করে না। আমাদের স্কুল বাচ্চাদের প্রতি দরদী, যত্নশীল। কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা-ই কোনও পড়ুয়ার সঙ্গে এরকম দুর্ব্যবহার করবে না, যেমনটা অভিযোগ করা হচ্ছে। গোটা ঘটনা সম্পর্কে জানার পরই আমরা জানাব। এই পরিস্থিতিতে সবার সহযোগিতা কাম্য।'
আরও পড়ুন, Mamata Banerjee: 'অন্যের পয়সায় এক কাপ চা-ও খাইনি, তবু ইডি-সিবিআই পাঠাচ্ছে!'