ফিরিঙ্গি কালীবাড়ির পুজো
হ্যান্সম্যান অ্যান্টনী। এ নামে কেইই বা চেনেন তাকে? যদি বলি অ্যান্টনী কবিয়াল। তাহলে চেনেন অনেকে। তবে একডাকে সবাই চেনেন অ্যান্টনী ফিরিঙ্গি নামে।
হ্যান্সম্যান অ্যান্টনী। এ নামে কেইই বা চেনেন তাকে? যদি বলি অ্যান্টনী কবিয়াল। তাহলে চেনেন অনেকে। তবে একডাকে সবাই চেনেন অ্যান্টনী ফিরিঙ্গি নামে।
শহরে কালীবাড়ি প্রচুর। কিন্তু খাস সাহেবের হাতে তৈরি কালীবাড়ি সাক্যুল্যে একটি। বৌবাজারের ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি। সুতানুটি গ্রামের পাশে গঙ্গার খাঁড়ি। সেখানে শ্মশানের ধারে ৯০৫ বঙ্গাব্দে তৈরি হয়েছিল শিব মন্দির। পাশেই অ্যান্টনী কবিয়ালের মামার বাড়ি। গৌরহাটির মেয়ে সৌদামিনীকে বিয়ে করার পর সাড়ে চারশো বছর আগে এখানে সিদ্ধেশ্বরী কালী প্রতিমা প্রতিষ্ঠা করেন এই সাহেব। বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে শহরের সবার কাছে সমান জনপ্রিয় এই ধর্মপীঠ। ভক্তদের মানতে এখনও পশুবলি হয়। তবে মন্দিরের বর্তমান সেবায়েত ব্যানার্জি পরিবার পশুবলির বিপক্ষে। তাই তারা বলি দেন আখ-শশা-চালকুমড়ো। কালীপুজোর দিন অমাবস্যা পড়লেই শুরু হয় অঞ্জলি। পুজো চলে আট ঘণ্টা ধরে। একশো আট প্রদীপ জ্বালিয়ে। এরপর ভোগ-আরতি-হোম-যজ্ঞ। অন্নকুট উত্সব হয় পরদিন। প্রসাদ গ্রহণের লাইন পৌঁছে যায় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ।