Kaliaganj Firing: কালিয়াগঞ্জে গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মন, স্ত্রীকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু
Kaliaganj Firing:পরিবারের অভিযোগ ছিল পুলিসই গুলি চালিয়েছে। মোট ২ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। একটি গুলির সন্ধান পাওয়া গেলেও অন্য গুলিটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। পুলিসও স্বীকার করেছে আত্মরক্ষার্থে তারা গুলি চালিয়েছিল। কিন্তু সেই গুলিতেই মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু কিনা তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: কালিয়াগঞ্জে গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন রাজবংশী যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মন। তাঁর স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে বিধানসভায় সুপারিশ করেছিলেন বিজেপি বিধায়করা। সোমবার মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রীকে বিধানসভায় তাঁর ঘরে অ্যাটেনডেন্টের চাকরি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি, ময়নায় নিহত বিজেপি কর্মীর ছেলেকেও একই পদে নিয়োগের জন্য নিয়োগপত্র তুলে দেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন- প্রাণ বাঁচতে কালিয়াগঞ্জে গুলি চালিয়েছিল পুলিস; তাতেই কি মৃত্যু মৃত্যুঞ্জয়ের, সিআইডি তদন্তের নির্দেশ
নিয়োগ পত্র হাতে পেয়ে মৃত্যুঞ্জয় বর্মানের স্ত্রী বলেন, উনি বললেন আমার চাকরি হয়ে গিয়েছে। এতে আমি খুশি। কিন্তু বারবার আমি বলছি যে যারা ওই গুলি চালানার ঘটনায় দোষী তাদের শাস্তি চাই। সিবিআই তদন্ত চাই। এই চাকরি হওয়ার জন্য সংসারে কিছুটা সুরাহা হল। অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পুলিসের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সরকারের উচিত ছিল ওঁকে চাকরি দেওয়া। তাই আমরা সম্মলিতভাবে চাকরির সুপারিশ করেছিলন।
উল্লেখ্য, এক নাবালিকার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ। ক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালায় কালিয়াগঞ্জ থানায়। আগুন দেওয়া হয় থানায়। সেই ঘটনার পরদিনই কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য বিষ্ণু বর্মনের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিস। তাকে না পেয়ে তার জামাইকে হেফাজতে নিতে চায় পুলিস। তাতেই বাধা দেন মৃত্যুঞ্জয় বর্মন। তারপরই পুলিস গুলি চালায় পুলিস। এমনটাই অভিযোগ মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবারের।
পরিবারের অভিযোগ ছিল পুলিসই গুলি চালিয়েছে। মোট ২ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। একটি গুলির সন্ধান পাওয়া গেলেও অন্য গুলিটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। পুলিসও স্বীকার করেছে আত্মরক্ষার্থে তারা গুলি চালিয়েছিল। কিন্তু সেই গুলিতেই মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু কিনা তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। কেন পরিস্থিতিতে গুলি চালানো হয় তাও বিচার করে দেখাও প্রয়োজন রয়েছে বলে আদালতে দাবি করেন রাজ্যের আইনজীবী।
রাজ্য সরকারের তরফে আজ কলকাতা হাইকোর্টে জানায়, আত্মরক্ষায় গুলি চালিয়েছিল পুলিস। তবে সেই গুলিতেই মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষ বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। গত ২৮ এপ্রিল এসপিকে একটি চিঠি দেয় মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবার। সেখানে লেখা হয় রাজ্য সরকারের পুলিসের উপরে ভরসা নেই তাদের। সেই চিঠির পর তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে বলা হয় সিআইডির হাত থেকে মামলা নিয়ে সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হোক। আদালতের তরফে আজ মন্তব্য করা হয়, পুলিসের উপরে ভরসা নেই জেনে তদন্তবার সিবিআইডিকে দেওয়া হয়। তার দুদিন পরেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কীভাবে দেওয়া যায়?