ফের সিপিআইএমকে বয়কটের ডাক খাদ্যমন্ত্রীর
সিপিআইএম প্রসঙ্গে তাঁর নিজের বক্তব্যে অনড় খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শনিবার মধ্যমগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে তিনি ফের বলেন, "সিপিআইএমের সঙ্গে মিশবেন না।" একইসঙ্গে সিপিআইএম নেতা গৌতম দেব সম্পর্কে অসৌজন্যমূলক মন্তব্যও করেন তিনি।
সিপিআইএম প্রসঙ্গে তাঁর নিজের বক্তব্যে অনড় খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শনিবার মধ্যমগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে তিনি ফের বলেন, "সিপিআইএমের সঙ্গে মিশবেন না।" একইসঙ্গে সিপিআইএম নেতা গৌতম দেব সম্পর্কে অসৌজন্যমূলক মন্তব্যও করেন তিনি।
দিন কয়েক আগে তাঁর বক্তব্য ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সব মহলে। কিন্তু তিনি, নিজের বক্তব্য থেকে সরতে রাজি নন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। উল্টে তাঁর দাবি, ওই মন্তব্যে দলীয় কর্মীরা উত্সাহিত। সেকারণে শনিবার ফের একবার নতুন করে সিপিআইএমকে বয়কটের ডাক দিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বললেন, "সিপিআইমের সঙ্গে মিশবেন না। আমি নিজে মিশি না।"
স্বাভাবিকভাবেই খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সহমত নয় সিপিআইএম। এরাজ্যের সামাজিক এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতি এর পরিপন্থী বলে মনে করেন সিপিআইএম নেতা অমিতাভ নন্দী।
গত রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার গুমায় তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মীসভায় সিপিআইএমকে সামাজিক বয়কটের ডাক দেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সিপিআইএম কর্মীদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক না-রাখা, বা তাঁদের সঙ্গে কোনও অনুষ্ঠানে না-যাওয়ার কথাও বলেন তিনি। শুক্রবার তাঁর সেই বক্তব্যের সমর্থনে দমদম রোডের দাগা কলোনির মোড়ে একটি হোর্ডিং লাগান জেলাস্তরের এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। বিতর্ক দানা বাধায় পরে অবশ্য তা সরিয়ে নেওয়া হয়। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক গৌতম দেব সম্পর্কেও অসৌজন্যমূলক ভাষা প্রয়োগ করেন খাদ্যমন্ত্রী। বলেন, "জেলায় সিপিএমের মাথা পচে গিয়েছে। আর মাথা পচে গেলে গোটা মাছটাই পচে যায়।"
বিরোধী দলের নেতাকর্মী সম্পর্কে অসৌজন্যের ভাষা প্রয়োগ নিয়ে এর আগেও বহুবার সরগরম হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। বিভিন্ন মহলে বিস্তর সমালোচনাও হয়েছে। তবু, এরাজ্যের রাজনৈতিক সংস্কৃতি যে বদলায়নি, খাদ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে ফের একবার তা সামনে এল।