বুদ্ধিই ভরসা, কাটল জোকা-বিবাদি বাগ জমি জটের গেরো
বুদ্ধির জোরে জমি জটের গেরো কাটাল জোকা বিবাদি বাগ মেট্রো। ২৭ জনের কাছ থেকে মোট ৪৯ কাঠা জমি নিয়ে টার্মিনাল পর্যন্ত লাইন পাতা দরকার ছিল। কিন্তু তা আর দরকার হল না।
ব্যুরো: বুদ্ধির জোরে জমি জটের গেরো কাটাল জোকা বিবাদি বাগ মেট্রো। ২৭ জনের কাছ থেকে মোট ৪৯ কাঠা জমি নিয়ে টার্মিনাল পর্যন্ত লাইন পাতা দরকার ছিল। কিন্তু তা আর দরকার হল না।
বুদ্ধি আর বিদেশ থেকে আনা যন্ত্রের জোরে এক ফোঁটাও জমি অধিগ্রহণ না করে লাইন পাতল রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড। পরিকল্পনা অনুযায়ী জোকা মেট্রো স্টেশন থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত মেট্রো যাবে চড়িয়াল খালের পাশ দিয়ে। কিন্তু চড়িয়াল খালের পাশ দিয়ে লাইন পাততে গিয়ে বেজায় ফাঁপরে পড়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কারণ গোটা রাস্তা জুড়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুত নিগম লিমিটেডের আটটি টাওয়ার। ১৩২ কিলোভোল্টের এইসব টাওয়ার দিয়ে কসবা- সোনারপুর, লক্ষ্মীকান্তপুর-ফলতা এবং গার্ডেনরীচে বিদ্যুত্ যাচ্ছে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ হিসেব করে দেখে নতুন টাওয়ার পাততে গেলে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে।
মেট্রোর হিসেব অনুযায়ী এভাবে টাওয়ার পাততে এক আধ জন নয়, পুরো সাতাশ জনের কাছ থেকে ৪৯ কাঠা জমি অধিগ্রহণ করতে হবে।
এক একটি টাওয়ারের জন্য দরকার ষোলোশ স্কোয়ার মিটার জায়গা। দত্তাবাদের জমি নিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষের অভিজ্ঞতা মোটেই সুখের নয়। কিন্তু জমি ছাড়া টাওয়ার দাঁড়াবে কিভাবে? জোকা বিবাদি বাগ মেট্রোর ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের প্রধানরা এরপরেই শুরু করেন খোঁজ। দেখা যায় ষোলো স্কোয়ার মিটার জায়গা পেলেই সমস্যা মিটছে । গোটা দেশে এর আগে এভাবে তিন জায়গায় টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে। কিভাবে এই টাওয়ার তৈরি করা যায় তার পুরো নকশা RVNL জমা দেয় WBSETCL-এর কাছে। লন্ডন থেকে আসে যন্ত্র। এক ফোটাও জমি অধিগ্রহণ না করে ওঠে তিনটি টাওয়ার । আটটি টাওয়ারের কাজ করবে এই তিনটিই। এমনকি গোটা কাজ শেষ হওয়ার পরে উদ্বৃত্ত হয়েছে নয় কাঠা জমিও। জমি অধিগ্রহণ না করে টার্মিনালে যাওয়ার রাস্তা তৈরি হলেও, টার্মিনাল নিয়ে এখন জমি জটে জেরবার মেট্রো কর্তৃপক্ষ।