Jharkhand MLA arrest Case: ঝাড়খণ্ডের ৩ বিধায়ক উঠেছিলেন সদর স্ট্রিটের হোটেল, সেখানেই হয় বিপুল টাকার হাতবদল!
সরদ স্ট্রিটের ওই হোটেলের এক কর্মী সংবাদমাধ্যমে জানান, মালিক বলেছিলেন কিছু ভিআইপি আসছে। তারা এখানে টয়লেট ব্যবহার করে চলে যাবে। ওরা মোট ৬ মিনিট হোটেলে ছিলেন। কোনও এন্ট্রি হয়নি
পিয়ালি মিত্র: হাওড়ার পাঁচলা থেকে বিপুল টাকা-সহ গ্রেফতার ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক। সেই ঘটনার তদন্তে এবার সিআইডির হাতে এল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। প্রশ্ন ছিল ৪৯ লাখ টাকা ওই ৩ বিধায়কের কাছে এল কীভাবে। তারই তদন্ত উঠে এল ওই টাকার হাতবদল হয়েছিল কলকাতাতেই। এমনটাই মনে করছে সিআইডি। ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের এক বিধায়ক অভিযোগ করেছেন সরকার ভাঙার জন্যই ওই টাকার লেনদেন হচ্ছিল।
তদন্তে উঠে এসেছে ঝাড়খণ্ডের ওইসব বিধায়করা উঠেছিলেন মধ্য কলকাতার সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে। তাদের সঙ্গে ছিলেন আরও একজন। হোটেলে কোনও এন্ট্রি হয়নি। ভিআইপি হিসেবে তাঁরা হোটেল ঢোকেন। কিছুক্ষণ পর হোটেল থেকে বেরিয়ে যান চতুর্থ ব্যক্তি। স্কুটি নিয়ে লালবাজারের দিকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর তিনি ফেরেন একটি ব্যাগ নিয়ে। সম্ভবত সেই ব্যাগেই টাকা আনা হয়েছিল। এমনটাই অনুমান করছেন তদন্তকারীরা।
বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ উঠেছে ওই ৩ কংগ্রেস বিধায়কদের বিরুদ্ধে। ওই ৩ জন সহ মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। ঝাড়খণ্ডের এক কংগ্রেস বিধায়কের অভিযোগ সরকার ভাঙার জন্য তাঁকে ১০ কোটি টাকা টোপ দেওয়া হয়েছিল। ওই দশ কোটির অগ্রিম দেওয়ার জন্য কলকাতাতে তাঁকে ডাকা হয়েছিল। তিনি তা না করে এনিয়ে অভিযোগ করেন রাঁচির আরগোরা থানায়। তিনি তাঁর অভিযোগ লিখেছেন, তাঁকে অসমে নিয়ে গিয়ে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
তদন্তকারীরা মনে করছেন ওই বিধায়ককে অগ্রিম দেওয়ার জন্য যে টাকা জোগাড় করা হয়েছিল তা করা হয় কলকাতায়। শনিবার হাওডার পাঁচলায় বিপুল টাকা-সহ আটক করা হয় ওই ৩ বিধায়ককে। তারা আগে ওই ৩ বিধায়ক ছিলেন সদর স্ট্রিটের হোটেলটির ১০৬ নম্বর ঘরে। ওই ঘরে তাঁরা ছিলেন মোট ৬ মিনিট। তবে সিআইডির দাবি, বিকেল চারটে নাগাদ তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন এক ব্যক্তি। সাক্ষাতের পর তিনি চলে যান লালবাজারের দিকে। বাকীরা হোটেল লাগোয়া একটি পানশালায় ছিলেন। পরে বিকেল চারটের পর তারা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান।
সরদ স্ট্রিটের ওই হোটেলের এক কর্মী সংবাদমাধ্যমে জানান, মালিক বলেছিলেন কিছু ভিআইপি আসছে। তারা এখানে টয়লেট ব্যবহার করে চলে যাবে। ওরা মোট ৬ মিনিট হোটেলে ছিলেন। কোনও এন্ট্রি হয়নি। সিআইডি এসে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে গিয়েছে।
তদন্তকারীদের বক্তব্য, ৩ বিধায়কের সঙ্গে থাকা চতুর্থ ব্যক্তিই টাকা এনেছিল। কিন্তু তাকে ওই টাকা দিয়েছিল কে? তদন্তে উঠে এসেছে লালবাজারের কাছে এক ব্যবসায়ীর লোক তিন বিধায়কের সঙ্গী কুমার প্রতীকের হাতে টাকা ব্যাগ তুলে দেয়। গত ২০ জুলাই প্রথমবার গুয়াহাটি যান রাজেশ কাশ্যপ ও ইরফান আনসারি। তখনই তাদের সঙ্গে হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়। সেখানে ছিলেন এক মধ্যস্থতাকারীও। পরে গত শুক্রবার ফের রাজেশ কাশ্যপ, নমন দীক্ষিত ও ইরফান আনসারি গুয়াহাটি যান।
আরও পড়ুন-বহরমপুর থেকে বসিরহাট, নতুন ৭ জেলা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর