তিন দিন ঘুরেও সরকারি হাসপাতালে ঠাঁই পেলেন না জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত কিশোর

Updated By: Aug 25, 2014, 10:44 PM IST
তিন দিন ঘুরেও সরকারি হাসপাতালে ঠাঁই পেলেন না জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত কিশোর

তিন দিন ধরে কলকাতার চারটি সরকারি হাসপাতালে ঘুরে বেড়াতে হল জাপানি এনসেফ্যালাইটিস আক্রান্ত রোগীকে। কোথাও নেই পরিকাঠামো, কোথাও বেডের অভাব। ফিরিয়ে দেওয়া হল রোগীকে। অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধেয় শিশুমঙ্গল হাসপাতালে ঠাঁই হয় জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত সোনারপুরের বাসিন্দা সনু সাউয়ের।

বর্তমানে ট্রপিক্যালের ভেন্টিলেটরে কোমায় আচ্ছন্ন হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বছর পনেরোর এই কিশোর। কিছুতেই সারছিল না জ্বর। গত সতেরোই অগাস্ট স্থানীয় চিকিত্সকের কাছে সনুকে নিয়ে যান পরিজনেরা। রোগ গুরুতর, আঁচ করতে পেরে পরদিন রক্ত পরীক্ষার জন্য সনুকে ভবানীপুরে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠান ওই চিকিত্সক। পুরসভার ক্লিনিকে ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়া পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। প্রবল খিচুনি শুরু হওয়ায় সোমবার রাতে সনুকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিজনেরা। ন্যাশনাল সনুকে ভর্তি নিলেও, মেলেনি বেড। অন্য রোগীদের সঙ্গে মেঝেতে রেখে শুরু হয় চিকিত্সা।

সোমবার রাতেই সনুকে নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভর্তি দুরস্ত। এসএসকেএম জানিয়ে দেন বেড নেই। রেফার করা হয় শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে। সনু সাউ জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত তা বিন্দুমাত্র আঁচ করতে পারেননি শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিত্সক। পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয়, খিঁচুনির চিকিত্সা এখানে হয়না।

২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও কোনও চিকিতসা না মেলায় সনুকে মঙ্গলবার শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে বেসরকারি হাসপাতাল শিশুমঙ্গলে নিয়ে যান পরিজনেরা। বুধবার তাঁর রক্ত এবং সেরিব্রো স্পাইনাল ফ্লুইড পরীক্ষার জন্য ট্রপিক্যালে পাঠায় শিশুমঙ্গল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার ধরা পড়ে জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত সনু সাউ। শুক্রবার রাতেই সনুকে শিশুমঙ্গল থেকে আনা হয় ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। ট্রপিক্যালের সিসিইউয়ে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে সনু সাউকে। শুক্রবার থেকে কোমায় আচ্ছন্ন এই কিশোর।

স্বাস্থ্য দফতরের দাবি ছিল, কলকাতায় নয়। বাইরে থেকে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বিহারের বাসিন্দা পেশায় গেঞ্জি কারখানার শ্রমিক সনু সাউ। যদিও এই যুক্তি মানতে নারাজ সনুর পরিবার। গত চার বছরের সোনারপুরের বাইরে পা রাখেননি সনু। দাবি পরিবারের। কলকাতার লাগোয়া সোনারপুরে জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের থাবায় দিশেহারা স্বাস্থ্য দফতর। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে এলাকায় স্বাস্থ্য শিবির খোলা হয়েছে। সনুর পরিবারের অন্য চার সদস্যের জে ই পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন।

 

 

 

.