আসছে বছর আবার হবে, জমকালো আলোসজ্জায় গভীর রাত পযর্ন্ত চলল জগদ্বাত্রী বিসর্জন
বিদায়বেলায় যন্ত্রণা ভুলে গিয়ে রাঙিয়ে দেওয়ার খেলা। হুল্লোড়। আসছে বছর আবার হবে। আসলে সমাপ্তিতেই তো সূচনার বার্তা লুকিয়ে থাকে। চন্দননগর এবং কৃষ্ণনগরে বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গেই দিন গোণা শুরু হয়ে গেল পরের জগদ্বাত্রী পুজোর।
ওয়েব ডেস্ক: বিদায়বেলায় যন্ত্রণা ভুলে গিয়ে রাঙিয়ে দেওয়ার খেলা। হুল্লোড়। আসছে বছর আবার হবে। আসলে সমাপ্তিতেই তো সূচনার বার্তা লুকিয়ে থাকে। চন্দননগর এবং কৃষ্ণনগরে বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গেই দিন গোণা শুরু হয়ে গেল পরের জগদ্বাত্রী পুজোর।
দুর্গা পুজোর দশমীর তিথিতে যখন বিসর্জনের ঢাক, তখনই আগমনী শুরু হয়ে যায় চন্দননগরে। সাজো সাজো রব। কালী পুজো-ভাই ফোঁটার পর কার্যত উত্সব শুরু। আলোর রোশনাই, উঁচু উঁচু মণ্ডপ, সেখানে বিশালাকার জগদ্ধাত্রী। জমজমাট এককালের ফরাসী উপনিবেশ। শনিবার দশমীর সকালেই বিদায় জানানোর পালা।
তবে বিদায়বেলায় কম জমকালো নয়। সন্ধে নামার সঙ্গে সঙ্গে শোভাযাত্রা। সেখানেও আলোকসজ্জার প্রতিযোগিতা। অন্য দিনগুলির মতো দশমীতেও সারা রাজ্য থেকেই লাখো মানুষের ঢল চন্দননগরে। রানিঘাটে গভীর রাত পর্যন্ত চলল ভাসান।
রাজা কৃষ্ণ ছিলেন মাতৃভক্ত। কৃষ্ণনগরে তাঁর আমলেই শুরু হয় জগদ্ধাত্রী পুজোর। রাজবাড়ির গণ্ডি ছাড়িয়ে জগদ্ধাত্রী পুজো বারোয়ারি উত্সবের চেহারা নিয়েছে এই শহরে। শনিবার দশমী তিথিতে সেখানেও বিসর্জন। আর বিসর্জনকে ঘিরে সাজো সাজো ব্যাপার। শহরের প্রায় অধিকাংশ বারোয়ারি প্রতিমাই রাজবাড়ি হয়ে বিদায় জানাল জলঙ্গীর কদমতলা ঘাটে।
ধ্বনিত হল, আসছে বছর আবার হবে।