উপাচার্য নিগ্রহের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের

বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।

Updated By: Feb 22, 2019, 05:36 PM IST
উপাচার্য নিগ্রহের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের

নিজস্ব প্রতিবেদন : যাদবপুরে উপাচার্য নিগ্রহের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কেন এই ঘটনা ঘটল?  কারা ছিল এই ঘটনার পিছনে? এসব-ই তদন্ত করে দেখবে কমিটি। তবে কমিটিতে কারা কারা থাকবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এসপ্তাহের মধ্যেই স্থির করা হবে তদন্ত কমিটির সদস্যদের নাম।

উল্লেখ্য, হেনস্থার ঘটনয়া শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি অভিযোগ দায়ের করতে বলেছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে। কিন্ত এতদিন কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি উপাচার্য। ধাক্কাধাক্কির চোটে পায়ে চোট লেগেছিল উপাচার্যের। হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান শিক্ষামন্ত্রী। সেইসময়ই এই ঘটনায় তাঁকে অভিযোগ দায়ের করতে বলেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু উপাচার্য সুরঞ্জন দাস শিক্ষামন্ত্রীকে জানান, একজন শিক্ষক হয়ে পড়ুয়াদের নামে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন না তিনি। কিন্তু এবার কমিটি গড়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।

আরও পড়ুন, করফাঁকি আটকাতে কড়া উদ্যোগ রাজ্য সরকারের  

মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন সংক্রান্ত এগজিকিউটিভ কাউন্সিলিংয়ের বৈঠক চলাকালীন 'ইউনিয়ন নয়, কাউন্সিল' এই দাবিতে বাইরে অবস্থান শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। ঘেরাও হয় উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার-সহ অন্যান্যরা। বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে ছাত্রছাত্রীদের জানানো হয় যে, রাজ্যের তরফে ইউনিয়ন সংক্রান্ত কোনও উত্তর আসেনি। উপরমহলের নির্দেশিকা ছাড়া নিয়ম বদল করা সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন, গঙ্গাবক্ষে হাউসবোটে প্রমোদভ্রমণের সুবর্ণ সুযোগ

এরপরই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অবস্থানকারীরা। অভিযোগ, উপাচার্য এবং সহউপাচার্যকে ধাক্কা দেন ছাত্ররা।  তারপর মঙ্গলবার রাতভর অরবিন্দ ভবনের সামনে অবস্থান করেন ছাত্রছাত্রীরা। উপাচার্য হেনস্থার খবর পাওয়ার পরই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। হুঁশিয়ারি দেন, ""এই ধরনের আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। উপাচার্যকে ধাক্কা মারা হয়েছে। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিবারই নির্বাচনের সময় এমন ঝামেলা করেন ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের কোনও বক্তব্য থাকলে গণতান্ত্রিকভাবে জানানো যেতে পারে।''

.