ভি`ডে তে নিখোঁজ ছাত্রের দেহ মিলল বান্ধবীর বাড়ির কাছ থেকে
৩০টা মিস কল। তিনবার কথপোকথন। দুটি এসএমএস। মোবাইল ফোনের কললিস্ট ঘেঁটে যাদবপুরের নিখোঁজ ছাত্রের সন্ধান পেল পুলিস। তবে উদ্ধার হল তাঁর নিথর দেহ। আরামবাগের একটি খাল থেকে নিখোঁজ ছাত্রের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিস। সেখানেই তাঁর বান্ধবীর বাড়ি। বান্ধবীর বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৩০টা মিস কল। তিনবার কথপোকথন। দুটি এসএমএস। মোবাইল ফোনের কললিস্ট ঘেঁটে যাদবপুরের নিখোঁজ ছাত্রের সন্ধান পেল পুলিস। তবে উদ্ধার হল তাঁর নিথর দেহ। আরামবাগের একটি খাল থেকে নিখোঁজ ছাত্রের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিস। সেখানেই তাঁর বান্ধবীর বাড়ি। বান্ধবীর বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শখ ছিল পাখি পোষার। প্যাশন ছিল ক্রিকেট। পড়াশোনার খরচ জুটত টিউশনি আর ক্যাটারিং থেকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ প্রথম বর্ষের ছাত্র সুরজিত সিংয়ের ভালবাসার আরেকজন ছিলেন। তাঁরই এক সহপাঠী।
যাদবপুরেরই একটি মেসে থাকতেন আরামবাগের মেয়েটি। ভ্যালেন্টাইনস ডে-র সকালে টিউশনি পড়ানোর নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন সুরজিত। সন্ধে থেকে তাঁকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। পরিবারের তরফে যোগাযোগ করা হয় বান্ধবীর সঙ্গে।
পরিবারের দাবি, রাত ৮টা ৫২র পর সুরজিতের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ হয়নি বলে জানিয়েছিলেন সুরজিতের বান্ধবী। এরপরই চেতলা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। লালবাজার মিসিং স্কোয়্যাডের অফিসাররা সুরজিতের মোবাইলের কলডিটেলস ঘেঁটে দেখেন। সেইদিন বান্ধবীর নম্বরে ৩০টা মিসকল, তিনবার কল রিসিভ ও দুটি এসএমএস পান তাঁরা। এরপর একবার সুরজিত সিংয়ের ফোন অন করাও হয়েছিল। তাতে আরামবাগের কালীপুর এলাকাতেই টাওয়ার লোকেশন দেখায়। এরপরেই আরামবাগে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পুলিস ও আত্মীয়েরা। মঙ্গলবার সেখানকারই একটি খাল থেকে উদ্ধার হয় নিখোঁজ ছাত্রের দেহ।