আবেশের মৃত্যু তদন্তে প্রভাবশালীদের চাপ, 'স্বীকারোক্তি' পুলিসের একাংশেরই

সানি পার্ককাণ্ডে প্রথম থেকেই নাম জড়িয়েছে সমাজের প্রভাবশালী  পরিবারের সন্তানদের। তদন্ত যাতে সঠিক পথে না এগোয় সেজন্য  চাপ সৃষ্টি করতে পারেন প্রভাবশালীরা। আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন আবেশের মা। তাঁর আশঙ্কাই সত্যি হল।  তদন্ত শুরুর পর সত্যি সত্যিই চাপ আসতে শুরু করে, বলছে পুলিসের একটি সূত্র।

Updated By: Jul 26, 2016, 09:40 PM IST
আবেশের মৃত্যু তদন্তে প্রভাবশালীদের চাপ, 'স্বীকারোক্তি' পুলিসের একাংশেরই

ওয়েব ডেস্ক : সানি পার্ককাণ্ডে প্রথম থেকেই নাম জড়িয়েছে সমাজের প্রভাবশালী  পরিবারের সন্তানদের। তদন্ত যাতে সঠিক পথে না এগোয় সেজন্য  চাপ সৃষ্টি করতে পারেন প্রভাবশালীরা। আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন আবেশের মা। তাঁর আশঙ্কাই সত্যি হল।  তদন্ত শুরুর পর সত্যি সত্যিই চাপ আসতে শুরু করে, বলছে পুলিসের একটি সূত্র।

ছেলের মৃত্যুর পরই প্রশ্নটা তুলেছিলেন আবেশের মা।  প্রভাবশালী পরিবারের সন্তানরা জড়িয়ে, তাই প্রভাবিত হতে পারে আবেশ মৃত্যু তদন্ত। আবেশ মৃত্যুতে জড়িয়েছে সমাজের প্রথম সারির প্রভাবশালী পরিবারের সন্তানরা। তদন্ত যত এগোচ্ছে আরও স্পষ্ট হচ্ছে কয়েকজন কিশোর-কিশোরীর বেলাগাম জীবনযাত্রার ছবিটা।

সেন্ট জেভিয়ার্সের পড়ার সময় থেকে আবেশ ও তার ৩ বন্ধুর কোর গ্রুপ ছিল। আবেশ ছাড়া গ্রুপের বাকিরা হল, টালিগঞ্জের অত্যন্ত প্রভাবশালী এক প্রযোজককের ছেলে, নামজাদা আসবাব ব্যবসায়ীর ছেলে ও এক অবাঙালি ব্যবসায়ীর ছেলে। ইলেভেনে আলাদা আলাদা ক্লাসে ভর্তি হলেও, ৪জনের বন্ধুত্বে ভাটা পড়েনি।

সূত্রের খবর,আবেশের মৃত্যুর ঠিক পরেই টালিগঞ্জের আসবাব ব্যবসায়ী ছেলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে পরিবার। পুলিসের কাছে সরাসরি অভিযোগও করেন তাঁরা। আবেশের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই ব্যবসায়ীর ছেলেকে  তুলে নিয়ে যায় পুলিস। সেদিনই আবেশের আরও এক বন্ধুকে জেরার কথা ছিল পুলিসের। রসা রোড থেকে সেদিকেই যাওয়া পথে, ফোন আসে পুলিসের কাছে। নির্দেশ দেওয়া হয় ফিরে যাওয়ার। প্রবল চাপের মুখে ফিরে যায় পুলিস। ঘটনার দিন রাতে আবেশের অন্য কোনও বন্ধুকে জেরা করা হয়নি।

শনিবার রাতেই হাসপাতালে দেখা যায় শীর্ষস্তরের এক আমলাকে। পুলিসেরই একটি সূত্র বলছে, তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই বার বার বিভিন্ন মহল থেকে চাপ আসতে শুরু করে। প্রভাবশালী  ব্যক্তিদের কাছ থেকে  বার বার ফোন যায় পুলিসের কাছে।

.