Agitation For DA: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাস্তায় সরকারি কর্মচারীরা, পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে তুলকালাম ধর্মতলা চত্বর
কর্মচারীদের দাবি, ৩৫ শতাংশ ডিএ এখন তাদের পাওনা রয়েছে। বহুদিন ধরেই তা ঝুলিয়ে রেখেছে সরকার। এবার তা দিতে হবে। এনিয়ে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এদিকে সরকার বলছে কোনও ডিএ বকেয়া নেই।
রণয় তেওয়ারি ও প্রবীর চক্রবর্তী: ডিএর দাবিতে রাস্তায় সরকারি কর্মচারীরা। তাদের বিধানসভা অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধমার পরিস্থিতি ধর্মতলা চত্বর। পুলিসের ব্য়ারিকেড ভেঙে সরকারি কর্মচারীরা বিধানসভার দিকে এগোতে চাইলে পুলিসের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। সরকারি কর্মচারীদের একাধিক সংগঠন আজকের বিক্ষোভে সামিল হন। কোনও কোনও মহলের মতে সাম্প্রতিক কালে সরকারি কর্মচারীদের এরকম জমায়েত লক্ষ্য করা যায়নি। এতদিন চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন সামলেছে পুলিস। এবার তারা সরকারি কর্মচারীদের মুখোমুখি।
আরও পড়ুন-নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন সোনার পাথরবাটি, বিস্ফোরক 'সুপ্রিম' মন্তব্য
সরকারি কর্মচারীদের দাবি, ৩৫ শতাংশ ডিএ এখন তাদের পাওনা রয়েছে। বহুদিন ধরেই তা ঝুলিয়ে রেখেছে সরকার। এবার তা দিতে হবে। এনিয়ে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এদিকে সরকার বলছে কোনও ডিএ বকেয়া নেই। বিক্ষোভকারী সরকার কর্মচারীদের ঠেকাতে ধর্মতলা থেকে একাধিক ব্যারিকেড খাড়া করা হয়। কয়েকটি বাধা ভেঙে বিধানসভার দিকে সরকারি কর্মচারীরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাদের আটকে দেওয়া হয়। অনেকে বিধানসভা গেটের কাছে পৌঁছে গেলে তাদের চ্যাংদোলা করে তুলে গাড়িতে ঢোকায় পুলিস। মহিলা পুলিসদের বাগে আনতে মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিস। তারাও মহিলাদের টানা হেঁচড়া করে গাড়িতে তোলেন।
এদিন বিধানসভার ২ নম্বর গেটের কাছে চলে আসেন বেশকিছু সরকারি কর্মচারী। সেখানে দাঁড়িয়েই তারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিশাল পুলিস বাহিনী এসে তাদের আটক করে নিয়ে য়ায়। এখন বিধানসভায় অধিবেশন চলছে। সাধারণভাবে বিধানসভায় অধিবেশন চললে ওই গেটে কখনওই বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়া হয় না। ফলে পুলিস রাস্তায় নেমে বিক্ষোভকারীদের তুলে লালবাজারে নিয়ে যায়।
সরকারী কর্মচারীদের ওই বিক্ষোভ নিয়ে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, পুলিসকে সরকারের নির্দেশ কোনও রকম বিক্ষোভ করতে দেওয়া যাবে না। পুলিসকে কাজে লাগানো হচ্ছে। পুলিসের মধ্যেও এমন মানুষ রয়েছেন যারা ডিএ পাচ্ছেন না। সরকার এরকম জুলুমবাজির মধ্যে দিয়েই টিকে রয়েছে। কিছু পুলিস অফিসার অত্যন্ত খারাপ আচরণ করেছে। সরকার এখন জুলুম করে আন্দোলন বন্ধ করার চেষ্টা করছে। এই আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়বে। সরকার আদালতে যেতে পারে কিন্তু তার উদ্দেশ্যটা ভালো নয়।