Agnipath Scheme Protest:'অগ্নিপথ' বিক্ষোভে ভারত বনধের শঙ্কা! সরকারি সম্পত্তির নিরাপত্তায় রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিকে এই চিঠি লেখা হয়েছে। চিঠি পাঠান হয়েছে কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি এবং চেন্নাইয়ের পুলিস কমিশনারকেও।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'অগ্নিপথ প্রকল্প'-এর বিরোধিতায় দিকে দিকে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। অবরোধ, ভাঙচুর, ট্রেন পোড়ানো, রেল রোকো চলছেই। এই পরিস্থিতিতে দেশের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে সতর্ক করল কেন্দ্র।
চিঠি পাঠিয়ে সরকারি সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আবেদন করা হল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিকে এই চিঠি লেখা হয়েছে। চিঠি পাঠান হয়েছে কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি এবং চেন্নাইয়ের পুলিস কমিশনারকেও। চিঠিতে ধর্না, বিক্ষোভ, ভাঙচুর এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর ২০ জুন ভারত বনধ এবং দিল্লির যন্তরমন্তরে বিক্ষোভেরও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তেমনটা জানা গিয়েছে বলে মন্ত্রকের দাবি।
এরপর প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পুলিস-প্রশাসনকে রেল স্টেশন,লাইন, জাতীয় সড়ক এবং সরকারি সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। 'অগ্নিপথ' (Agnipath recruitment scheme) বিক্ষোভের জেরে পূর্ব রেলের তরফ থেকে শনিবার ১৩টি ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের তরফে হাওড়া-সহ অন্যান্য ডিভিশন থেকে বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ইতিমধ্য়ে বিবৃতি দিয়েছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত, অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে বুধবার থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। চলমান বিক্ষোভে বিহারে সবচেয়ে বেশি হিংসা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী রেণু দেবী এবং বিহার বিজেপির সভাপতি ও পশ্চিম চম্পারন সাংসদ সঞ্জয় জয়সওয়ালের বাড়িতে হামলা হয়। গত কয়েকদিনে মুজাফফরপুর, বেগুসরাই, বক্সারে বিক্ষোভের ফলে রাজ্যে রেলওয়ে ট্র্যাফিক অবরুদ্ধ করা হয়েছে এবং ট্রেনের কোচে আগুন দেওয়া হয়েছে। এখন অবধি, কর্তৃপক্ষ গত তিন দিনে প্রায় ৩২০ জনকে গ্রেফতার করেছে এবং রাজ্যে হিংসা ও বিক্ষোভের জন্য ৬০টি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে।