'নিয়োগ প্রাপ্তির অধিকার খর্ব হয়েছে', ডিভিশন বেঞ্চে গড়াল উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ মামলা
১১ ডিসেম্বর সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া, মেধা তালিকা সব বাতিল করে দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ মামলা এবার পৌঁছাল ডিভিশন বেঞ্চে। ১১ ডিসেম্বরের হাইকোর্টের (High Court) সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন ১২০ জন নিয়োগপ্রার্থী।
১১ ডিসেম্বর সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া, মেধা তালিকা সব বাতিল করে দেন। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থী মৌমিতা ঘোষরা। মেধা তালিকায় মৌমিতা ঘোষ সহ আরও অনেকেই ছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে তাঁদের সবার নিয়োগ প্রাপ্তির অধিকার খর্ব হয়েছে। এই অভিযোগেই ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছেন মৌমিতা ঘোষরা।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতি জেরে গোটা প্রক্রিয়া বাতিল করে, একেবারে নতুন করে টেট (TET) প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। প্যানেল থেকে মেধাতালিকা পুরোটাই বাতিল করে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য নির্দেশ দেন, আগামী বছর ৪ জানুয়ারি থেকে নতুন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ৫ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে হবে ডকুমেনটেশন ও কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া। মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে ১০ মে-র মধ্যে । তারপর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
উল্লেখ্য, পাঁচ বছর আগে ২০১৫-তে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগের পরীক্ষা হয়। পরের বছর প্রকাশিত হয় ফল। অনেক বিতর্কের পরে ২০১৯-এর পুজোর আগে ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে মেধাতালিকা প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। ভেরিফিকেশন ও ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াও শেষ হয়। কিন্তু মেধাতালিকা প্রকাশের পরই স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। মেধাতালিকায় অস্বচ্ছতা এবং গরমিলের অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। প্রায় দু-হাজার মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। যার পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরই সিঙ্গল বেঞ্চ গোটা প্রক্রিয়া বাতিল করে দেয়।
আরও পড়ুন, বিজ্ঞপ্তি জারির পরদিনই মামলা High Court-এ, ফের বিশ বাঁও জলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ?
ময়দানকে 'নিট অ্যান্ড ক্লিন' দেখতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট, তৈরি ২ সদস্যের বিশেষ কমিটি