হাইকোর্টে জোর ধাক্কা খেল কলকাতা পুলিস ও CID
পুলিস, CID অকর্মণ্য। এজন্য ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই ভাষাতেই হাইকোর্টে তিরস্কৃত রাজ্য পুলিস ও CID। বার্নপুরে পাঁচ বছর আগের এক খুনের মামলার তদন্তে অসন্তুষ্ট আদালত। আর তাই এবার CBI-এর হাতে তুলে দেওয়া হল সেই মামলার তদন্তভার।
ওয়েব ডেস্ক : পুলিস, CID অকর্মণ্য। এজন্য ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই ভাষাতেই হাইকোর্টে তিরস্কৃত রাজ্য পুলিস ও CID। বার্নপুরে পাঁচ বছর আগের এক খুনের মামলার তদন্তে অসন্তুষ্ট আদালত। আর তাই এবার CBI-এর হাতে তুলে দেওয়া হল সেই মামলার তদন্তভার।
হাইকোর্টে এবার তোপের মুখে দু'পক্ষই। পাঁচ বছরের পুরনো এক খুনের মামলা। সেই মামলার তদন্তেই পুলিস ও CID-র ভূমিকাতে অসন্তুষ্ট বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি।
বার্নপুর রেল স্টেডিয়ামে মর্নিং ওয়াক করার সময় অর্পণ মুখোপাধ্যায়কে গুলি করে খুন করে একদল দুষ্কৃতী। আরও ২ জন প্রাতঃভ্রমণকারী গুলিবিদ্ধ হন। ২০১৩ সালে তদন্তভার জেলা পুলিসের হাত থেকে CID-র হাতে যায়। খুনের পর ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও, এখনও অধরা হত্যাকারীরা। তদন্তে অসন্তুষ্ট মৃতের পরিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
আরও পড়ুন- ভিডিও বিকৃত নয়, নারদকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের রায় কলকাতা হাইকোর্টের
মামলা ফের খোলার পর, আজ আদালতে CID-র আইনজীবী জানান, নতুন করে এই মামলায় আর কিছু তদন্ত করার নেই। তাঁর এই মন্তব্যে বেজায় চটে যান বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন, ''তদন্তের নামে এটা কি ছেলেখেলা হচ্ছে? ওইদিন অর্পণ ছাড়া আরও ২ জন গুলিবিদ্ধ হন, পুলিস তাঁদের সাক্ষ্যের ওপর জোর দিল না কেন? আরও যে প্রাতঃভ্রমণকারীরা ঘটনাস্থলে ছিলেন, তাঁদের কথা শোনা হয়েছিল কি? এভাবে চললে পুলিসের ওপর থেকে তো বিশ্বাসই হারিয়ে যাবে সাধারণ মানুষের। রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের তাবেদারি করতেই ব্যস্ত পুলিস, CID। সাধারণ মানুষ আজ ভুক্তভোগী পুলিস, CID-র অকর্মণ্যতার জন্য।''
এরপরই মামলার তদন্তভার CBI-কে দিয়ে দেন বিচারপতি। তিন মাসের মধ্যে CBI-কে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।