নতুন করে SSC-র নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ হাইকোর্টের, আশা-হতাশার দোলাচলে চাকরী প্রার্থীরা
প্যানেল থেকে মেধা তালিকা-পুরোটাই বাতিল করেছেন বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের একক বেঞ্চ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এবার হাইকোর্টে বড় ধাক্কা রাজ্যের। উচ্চপ্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। দুর্নীতি জেরে আজ গোটা প্রক্রিয়া বাতিল করে, একেবারে নতুন করে টেট প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। দুর্নীতির ভূরি ভূরি অভিযোগ ছিলই। ছিল স্বজনপোষণের অভিযোগও। উচ্চপ্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সেই সমস্ত অভিযোগকেই মান্যতা দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার, উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করল হাইকোর্ট
প্যানেল থেকে মেধা তালিকা-পুরোটাই বাতিল করেছেন বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের একক বেঞ্চ। স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছেন, আগামী বছর ৪ জানুয়ারি থেকে নতুন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে, ৫ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে হবে ডকুমেনটেশন ও কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া। মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে ১০ মে'র মধ্যে । ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
আরও পড়ুন: দিলীপের সভার আগে ধুন্ধুমার বেলাদায়, তৃণমূলের অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ BJP-র বিরুদ্ধে
পাঁচ বছর আগে, ২০১৫-তে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগের পরীক্ষা হয়। পরের বছর প্রকাশিত হয় ফল। অনেক বিতর্কের পরে গত বছর পুজোর আগে ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে মেধাতালিকা প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ভেরিফিকেশন ও ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হয়। মেধাতালিকা প্রকাশের পরেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। তারপর মেধাতালিকায় অস্বচ্ছতা এবং গরমিলের অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। হাইকোর্টে প্রায় দু-হাজার মামলা দায়ের হয়। উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
বিচার চেয়ে বারংবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। দফায় দফায় আন্দোলনও চালিয়ে যান। এ বিষয়ে কিছুদিন আগেই যদিও শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট করেন, আদালতের রায় বেরোলে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করবে রাজ্য সরকার। আজ হাইকোর্টের মামলার রায়দানের পর খানিক আশার আলো দেখছেন মামলাকারীরা। হাইকোর্টের এদিনের নির্দেশে মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদের একটা বড় অংশই সন্তুষ্ট। তবে দিনের পর দিন প্রক্রিয়া পিছিয়ে যেতে থাকায় কিছুটা অস্বস্তিতেও পড়েছেন তাঁরা। চাকরীপ্রার্থীদের একাংশের দাবি ইতিমধ্যেই ৪ বছর নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এরপর আরও সময় লাগলে তা চিন্তার কারণ। পাশাপাশি এই মামলার রায় অনুযায়ী আদৌ তা বাস্তবায়ীত হবে কিনা তা নিয়েও সন্দিহান অনেকেই।