এসএসকেএমে অবাধে চলত মাদক সরবরাহ, জেরায় উঠে এল এমনই তথ্য
এসএসকেএমের হস্টেলে মাদক সরবরাহ যে অবাধেই চলত, ধৃতদের স্বীকারোক্তিতে তা স্পষ্ট। ঘুটিয়ারি শরিফ থেকে নিয়মিত মাদক যেত এসএসকেএমের ইন্টার্ন হস্টেলে। ঘটনার দিনও ইন্টার্ন সপ্তর্ষি দাস পঞ্চাশ প্যাকেট হেরোইন কিনেছিলেন। জেরায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
এসএসকেএমের হস্টেলে মাদক সরবরাহ যে অবাধেই চলত, ধৃতদের স্বীকারোক্তিতে তা স্পষ্ট। ঘুটিয়ারি শরিফ থেকে নিয়মিত মাদক যেত এসএসকেএমের ইন্টার্ন হস্টেলে। ঘটনার দিনও ইন্টার্ন সপ্তর্ষি দাস পঞ্চাশ প্যাকেট হেরোইন কিনেছিলেন। জেরায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
মাত্রাতিরিক্ত মাদক সেবনেই মৃত্যু হয়েছে এসএসকেএমের ইন্টার্ন সপ্তর্ষি দাসের। ময়ানতদন্তের রিপোর্টে তা আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মাদক সেবনের সেই মাত্রা কতটা বিপজ্জনক ছিল, তা স্পষ্ট হয়ে গেল ধৃতদের স্বীকারোক্তিতে। এসএসকেএম কাণ্ডে অভীক চৌধুরী এবং মহম্মদ ইশাক নামে দুই মাদককারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
অভীক জেরায় জানিয়েছে, মৃত্যুর আগের দিন, অর্থাত্ গত ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধেয় তাঁর কাছ থেকে ২০ প্যাকেট হেরোইন কিনেছিলেন ইন্টার্ন সপ্তর্ষি দাস। রাত দশটায় আবার অভীককে ফোন করেন সপ্তর্ষি। আরও ৩০ প্যাকেট হেরোইন চেয়ে পাঠান। জেরায় অভীক জানিয়েছে, ঘটনার রাতে এসএসকেমের বয়েজ হস্টেলে মোট ৫০ প্যাকেট হেরোইন সরবরাহ করেছিল সে। এক বছর আগে অভীকের সঙ্গে সপ্তর্ষির পরিচয় হয়। সপ্তর্ষির অর্ডারমতো মাদক সরবরাহ করত অভীক। একাজে তাঁকে সাহায্য করত মহম্মদ ইশাক। ইশাক পুলিসকে জানিয়েছে, ঘুটিয়ারি শরিফ থেকে আনা মাদক হাতবদল হয়ে তা পৌছে যেত রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।