গণধর্ষণ মামলায় আগাম জামিন, HC-র রায়ে স্বস্তিতে বিজয়বর্গীয় সহ ৩ নেতা
অভিযোগ, ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর শরৎ বোস রোডের একটি ফ্ল্যাটে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করেন এই তিন নেতা। আরও অভিযোগ, এই ঘটনার পর থেকেই তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে খুনের হুমকি দেওয়া শুরু হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : গণধর্ষণ মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন আগাম জামিন পেলেন বিজয়বর্গীয়। হাইকোর্টের রায়ে স্বস্তিতে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ আরও দুই আরএসএস নেতা। আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন আগাম জামিন পেয়েছেন তিন নেতা। ২০১৮ সালের একটি গণধর্ষণ মামলায় নাম জড়ায় কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ আরএসএস নেতা জিষ্ণু বসু এবং প্রদীপ জোশির। এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন আগাম জামিন মঞ্জুর করে নির্দেশ দিয়েছে যে গ্রেফতার করা হলেও ১০০০০ টাকার দুটি বন্ডে জামিন দিতে হবে।
অভিযোগ, ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর শরৎ বোস রোডের একটি ফ্ল্যাটে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করেন এই তিন নেতা। আরও অভিযোগ, এই ঘটনার পর থেকেই তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে খুনের হুমকি দেওয়া শুরু হয়। হুমকি দেওয়ার ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৯-এ সরশুনা এবং ২০২০ সালে বোলপুর- এই দুই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। যদিও সরশুনা থানার অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছে পুলিস (Closure report filed)। তবে ২০২০-তে আলিপুর নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। সেখানে তিনি গণধর্ষণের অভিযোগ করেন। FIR দায়ের করার আবেদন জানান বিচারকের সামনে। যদিও এফআইআর দায়ের করার আবেদন খারিজ করে দেয় আলিপুর আদালত।
কিন্তু, চলতি বছরের ১ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী নিম্ন আদালতকে ফের ওই আবেদন বিবেচনা করার নির্দেশ দেন। এরপরই ৮ অক্টোবর ওই ৩ নেতার বিরুদ্ধে FIR দায়ের করার নির্দেশ দেন বিচারক। সেদিন-ই কৈলাস সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় এফআইআর দায়ের হয়। যার প্রেক্ষিতে আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত তিন নেতা। যার প্রেক্ষিতেই অন্তবর্তীকালীন আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের ১ অক্টোবরের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে SLP দাখিল করেছেন ৩ নেতা।
আরও পড়ুন, #উৎসব: মন্ত্রী সুজিতের শ্রীভূমির 'বুর্জ খলিফা' পুজোর সমালোচনা সাংসদ কল্যাণের মুখে!
উল্লেখ্য, অভিযোগের প্রেক্ষিতে শরৎ বোস রোডের ওই ফ্ল্যাটের দুজন সুপারভাইজারের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, ওই ফ্ল্যাটে দলীয় কাজকর্ম করার জন্য কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ একাধিক ব্যক্তি আসতেন। অন্যদিকে, তদন্তে জানা গিয়েছে ফ্ল্যাটটি জনৈক পবন রুইয়ার নামে। আর কৈলাস বিজয়বর্গীয় সেটি ভাড়া নিয়েছেন। পাশাপাশি, ইতিমধ্য়েই গোপন জবানবন্দি দেওয়ার জন্য অভিযোগকারিণী মহিলাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তিনি চলতি মাসের ১৬ অথবা ১৭ তারিখ নাগাদ তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার জন্য আসবেন।