New Rooftop Cafe In Kolkata: নতুন অবতারেই পুরনো ঠিকানা! গেলে মন ভালো হতে বাধ্য
New Rooftop Cafe In Kolkata: আপনি কি ভালো রুফটপ ক্যাফের খোঁজ করছেন বেশ কিছুদিন ধরে? তাহলে এই প্রতিবেদনই আপনার সেই খোঁজকে করে দেবে একেবারে নিখোঁজ। নতুন অবতারেই এবার কলকাতার এক পুরনো ঠিকানা ধরা দিয়েছে। টিজারে এইটুকুই থাক। পুরো সিনেমাটার জন্য চোখ বুলিয়ে নিন এই প্রতিবেদনে।
শুভপম সাহা: চট করে আপনার বাকেট লিস্টটা একবার চোখ বুলিয়ে নিন তো। দেখুন সেখানে অবশ্যই লেখা রয়েছে, এবার একটা ভালো রুফটপ ক্যাফেতে যেতে হবে। অনেকদিন যাওয়া হয় না। তা শুধু ক্যাফে হলেই তো আর হবে না। দারুণ ভিউ সঙ্গে লাইভ মিউজিকও তো চাই। আপনার খোঁজাখুঁজির পালা আপাতত শেষ। একেবারে 'হার্ট অফ দ্য সিটি'তেই রয়েছে দুরন্ত এক ডেস্টিনেশন। আপনার নেক্সট স্টপেজ হতেই পারে হ্যামার (Hammer)। একেবারে পার্ক স্ট্রিটের (Park Street) বুকের ওপরেই হ্যামার। বিখ্যাত রেস্তোরাঁ পিটার ক্যাট (Peter Cat) থেকে একেবারে ঢিল ছোড়া দূরত্বে হ্য়ামার। ঠিকানা: ২০ জি পার্ক স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০১৬, সিক্সট ফ্লোর। ঠিকানাটা কি একটু চেনা চেনা লাগছে? ক্যাফে বা বিস্ত্রোপ্রেমী হলে চেনারই কথা। এক সময়ে যাঁদের কাছে ওভার দ্য টপ ওরফে ওটটি (Over The Top, OTT) ছিল ভীষণ পছন্দের খানা-পিনার ঠেক, সেই ওটিটি-ই কিন্তু নাম বদলে হয়েছে হ্যামার। একদমই ঠিক পড়লেন।
গত ডিসেম্বরে হ্যামার একেবারে নতুন অবতারে হাজির হয়েছে। গ্লাস দিয়ে মোড়া রুফটপ গার্ডেন ক্যাফে আপনাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। শুধুই যে, ছাদের ওপর খোলা হাওয়ায় দুরন্ত সব খাওয়াদাওয়া সারতে পারবেন, তা কিন্তু একেবারেই নয়, ভিতরেও রয়েছে বসার সুন্দর ব্যবস্থা। বেতের চেয়ারে পিঠ ঠেকিয়ে এসি-র আরামে প্রিয় মানুষের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন। ভিউয়ের কথা যদি বলা হয়, তাহলে আপনি রুফটফ ক্যাফে থেকে পার্ক স্ট্রিট ও তার আশেপাশের বিস্তীর্ণ কলকাতার একটা ছবি দেখতে পাবেন। সূর্যাস্তের পর যা এককথায় অসাধারণ। এই মুহূর্তে কলকাতার মানুষের রুফটপ ক্যাফের প্রতি আলাদাই একটা ঝোঁক রয়েছে। এরকম ক্যাফের সংখ্যাও রাতারাতি বাড়ছে। সেই তালিকায় ঢুকে গেল চেনা হ্যামার।
অক্টা ও হ্যামারের মালিক অভিষেক কাজারিয়ার কাছে প্রশ্ন ছিল যে, কেন হ্যামারেই আসবে মানুষ? অভিষেক বলেন, 'ইয়ংস্টারদের কথা ভেবেই এই ক্যাফে। তবে ম্যাচিওর্ড ক্রাউডও ভীষণ ভাবে আসে। কেউ কেউ অফিস সেরে সন্ধের দিকে এখানে চলে আসেন। তাঁরা কোনও ফিঙ্গার ফুড বা ড্রিঙ্কস নিয়ে ল্যাপটপ খুলে কাজও সেরে নেন। এখানে ফ্রি ওয়াই-ফাই রয়েছে। দেখতে গেলে আমাদের হাওয়াইয়ান এবং মেক্সিকান খাবার বেশ জনপ্রিয়। আমি বলব ফিঙ্গার ফুডের ভ্যারাইটি কিন্তু সকলেরই ভালো লাগবে। খাওয়া থেকে শুরু করে সার্ভিস এবং অ্যাম্বিয়েন্স। এই আমাদের ইউএসপি। কেউ হতাশ হবে না এখানে আসলে। বুধবার এবং রবিবার আমাদের এখানে লাইভ ব্যান্ড পারফর্ম করে। বাকি দিনগুলি দু'জন করে ডিজে থারেন। একজন রুফটপে এবং অন্য়জন থাকেন আমাদের নীচের সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্টে। হ্যাপি আওয়ার্সের কথাও ভাবছি। উইকলি ব্রাঞ্চও রেখেছি। সবাইকে বলব এখানে আসতে।'
লাঞ্চ-ডিনারে যথেষ্ট ভ্যারাইটি রেখেছে হ্যামার। রয়ছে স্যুপ, ডিমসাম, ব্রেড আইটেমস, নিবলস (চায়ের সঙ্গে টা) থেকে শুরু করে পাস্তা-পিৎজা, তন্দুর এবং গ্রিলড আইটেম। ডেজার্টে পেয়ে যাবেন ব্রাউনি থেকে আইসক্রিম। ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যেই এসবের দাম ঘোরাফেরা করেছে। যদি মনে করেন যে, এর সঙ্গে এক গ্লাস ককটেল বা মকটেল জুড়ে নেবেন। তাও পেয়ে যাবেন। ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যেই বাহারি সব পানীয়র দাম। যাঁরা হ্যামারের সন্ধ্যায় একটু মাদকতার ছোঁয়া দিতে চান, সোজা কথায় একটু ঢুকুঢুকু করতে ভালোবাসেন, তাঁদের জন্যও রয়েছে বিস্তর আয়োজন। বিয়ার, হুইস্কি, স্কচ, ভডকা, রাম ও জিন, কী নেই। সবই পেয়ে যাবেন। ধরে রাখুন খরচ ওই ৩৫০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। এও হতে পারে যে,আপনি পড়ন্ত বিকেলের আলো গায়ে মেখে প্রিয় মানুষের সঙ্গে শুধু চা বা কফিতেই চুমুক দিতে চাইছেন, তার ব্যবস্থাও রেখেছে হ্যামার। চায়ের ভ্যারাইটিতে রয়েছে দার্জিলিং চা, অসম চা, আর্ল গ্রে, তেমনই জ্যাসমিন টি, গ্রিন টি ও সুলামানি টিও পেয়ে যাবেন এখানে। কফির মধ্যে কাপুচিনো, মোকা, লাতে এবাং এসপ্রেসো রয়েছে। চা কাপ প্রতি ১৫০ টাকা। ও কফি প্রতি কাপ ২০০ টাকা। তাহলে অপেক্ষা না করে একবার ঢুঁ মেরে আসনু ঝাঁ-চকচকে নিজেকে ট্রান্সফর্ম করা হ্যামারে।