জামাইষষ্ঠীতে হাফ ছুটির আমেজ

সাত সকালে অফিসে গিয়েই সুখবরটি পেলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। আজ হাফ ডে। মানে হাফ ছুটি। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে রাজ্য সরকার হাফ ছুটির সার্কুলার পাঠিয়েছে দফতরে দফতরে। তাই আর আজ কাজ হল না। হাফ ডে-র আনন্দে হৈ হৈ করে কেটে গেল আরও একটি কাজের দিন। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে সরকারি কর্মীদের ছুটিটা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে এইভাবেই।

Updated By: Jun 14, 2013, 08:01 PM IST

সাত সকালে অফিসে গিয়েই সুখবরটি পেলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। আজ হাফ ডে। মানে হাফ ছুটি। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে রাজ্য সরকার হাফ ছুটির সার্কুলার পাঠিয়েছে দফতরে দফতরে। তাই আর আজ কাজ হল না। হাফ ডে-র আনন্দে হৈ হৈ করে কেটে গেল আরও একটি কাজের দিন। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে সরকারি কর্মীদের ছুটিটা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে এইভাবেই।  
 
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার কয়েক দিনের মধ্যেই সরকারি কর্মীদের বাড়তি একটি ছুটি দিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেটি ছিল মৃত্যুদিনে জন্মদিনের ছুটি। তাও যে কারওর নয়। একেবারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল, পঁচিশে বৈশাখের ছুটি মিলবে বাইশে শ্রাবণ। নিন্দুকেরা সমালোচনা করলেও খুশিই হয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। বাড়তি ছুটিতে কে না খুশি হন! তাই ছুটির আশা ক্রমশই বাড়ছিল সরকারি কর্মীদের। পরের বছর থেকে অবশ্য বন্ধ হয়েছে বাইশে শ্রাবণের ছুটি। 
 
তবে হতাশ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। ২০১২ সালে দুর্গাপুজোয় এক ধাক্কায় বেশ কয়েকদিন ছুটি বাড়িয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ষষ্ঠী থেকে টানা লক্ষ্মী পুজো। শুধু কী তাই, এ বছর থেকে একাধিক বিশেষ ছুটির ব্যবস্থাও চালু হয়েছে। এই তালিকাও দীর্ঘ। তালিকায় রয়েছে--
 
ছটপুজো
সবেবরাত
ইস্টার স্যাটারডে
বুদ্ধ জয়ন্তী
মহাবীর জয়ন্তী
 
এবছর সেই ছুটির তালিকায় আরও একটি সংযোজন। জামাইষষ্ঠীতে সরকারি কর্মীদের হাফ ডে।  মহাকরণে জোর আলোচনা এরপর যদি শিবরাত্রি বা উল্টোরথেও ছুটি মেলে, তাহলে মন্দ কি?
 

.