'জি আর পি বলল তোমার স্ত্রীর চরিত্র খারাপ'
কলকাতা:
সর্বস্ব খুইয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে স্বামীকে ফিরিয়ে আনেন নির্যাতিতা। শুরু হয় এক নতুন লড়াই। সুবিচারের দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় দম্পতি। বিচার মেলাতো দুরঅস্ত, উল্টে নির্যাতিতারই চরিত্র নিয়েই প্রশ্ন তোলে পুলিস। শুক্রবার দমদম জিআরপির তরফে অভিযোগ নেওয়া হয়। ঘটনায় মামলাও রুজু হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল পুলিস।গোটা ঘটনায় পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছেন নির্যাতিতা ও তাঁর স্বামী।
স্বামীর বয়ান: ১৫ তারিখ যখন খুলে বলল তখন আমি জানতে পারলাম। সেটা জানার পর, আমার ভালবাসার স্মৃতিটাকে চারজন মিলে যে এরকম নোংরা ব্যবহার করেছে সেটা আমি সহ্য করতে পারিনি। সেটা সহ্য করতে না পেরে আমি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করতে গেছি। তখন আমার স্ত্রী আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাণে বাঁচায়।
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ালেন স্বামী। সুবিচারের দাবিতে দ্বারস্থ হলেন প্রশাসনের। কিন্তু সেখানে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা। অভিযোগ নিয়ে চিতপুর ও দমদম জিআরপির দ্বারস্থ হন দম্পতি। দুজায়গাতেই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিস। উল্টে দোষ চাপানো হয় নির্যাতিতার ঘাড়েই। পরামর্শ মেলে ডিভোর্সের।
মহিলার জবান: জি আর পি-র কাছে গিয়েছি ওখানে আমার কাগজটা জমা দিতে যাই। তখন জি আর পি আমাকে বলে, এই ঘটনা কী সত্যি হয়েছে? আমি বলি আপনারা তদন্ত করুন। বা কোথায় যাবেন চলুন। আমি আপনাকে নিয়ে যাচ্ছি। আমাকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে চলুন আমি সব খুলে বলল। আমি বলি যে গ্যারাজের মধ্যে বা অফিসের মধ্যে কোথায় হয়েছে আমি দেখিয়ে দেব। কিন্তু জি আর পি কিছুতেই নিচ্ছে না। ওনার বলেন দমদম চল জি আর পির কাছে সব খুলে বলবে।
পুলিসের এহেন উপদেশে স্তম্ভিত নির্যাতিতা। অপরাধীদের চরম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অসহায় দম্পতি। এই লড়াইয়ের শেষ দেখতে চান দুজনেই।
মহিলার স্বামীর বয়ান: আমি প্রথম কলকাতা জি আর পির কাছে জাই। কলকাতা জি আর পি বলল মেয়েটা ভাল না। মেয়েটার চরিত্র খারাপ। ওর সঙ্গে সংসার কর না। তুমি ছেড়ে দেও ওকে। আস্তে আস্তে। স্ত্রীকেও একই কথা বলা হয়। ওনারা বার বার চাইছেন এটা যাতে ওপেন না হয়। চিৎপুর। জি আর পি আমাদের সঙ্গে যে ব্যবহার করেছে। তেমনটা যেন আর কারও সঙ্গে না হয়।
আমি এর সুবিচার চাই। চারজন অত্যাচারীর শাস্তি চাই।
মহিলার জবান: চারজন আমার সঙ্গে অত্যাচার করে গেছে। রেলের স্টাফরা। আমরা এক সঙ্গে কাজ করতাম (গলা ধরে আসে) ওদের আমি ফাঁসি চাই।