রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্তব্য এড়ালেন রাজ্যপাল
"আমার যে বিষয়ে বলার ইচ্ছে, তা নিয়েই বলব।"
![রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্তব্য এড়ালেন রাজ্যপাল রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্তব্য এড়ালেন রাজ্যপাল](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/02/06/174290-sdvad.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনও কথা বলতে চাইলেন না রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। বইমেলায় এড়িয়ে গেলেন সাংবাদিকদের প্রশ্ন। সাম্প্রতিক কেন্দ্র-রাজ্য দ্বৈরথ সম্পর্কে রাজ্যপালকে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে কোনও কথা বলতে চাইলেন না।
আরও পড়ুন, রাজীবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে কোনও চিঠি আসেনি : মুখ্যমন্ত্রী
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল বলেন, "আমায় আপনারা কথা দিন, আমাকে আপনারা আমার মনের মত করে ঘুরতে দেবেন। আমার যে বিষয়ে বলার ইচ্ছে, তা নিয়েই বলব। বইকে ভালোবাসুন। বই নিয়ে বাঁচুন।" এর বাইরে আর কোনও কথা বলতে রাজি হননি রাজ্যপাল।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুলিস কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই হানাকে ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বৈরথে সরগরম রাজনৈতিক মহল। পুলিস কমিশনার রাজীব কুমরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে কলকাতা পুলিসের হাতে সিবিআই আধিকারিকদের চরম হেনস্থা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাস্তার উপরই দুপক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। ডিএসপি তথাগত বর্ধন সহ সিবিআই অফিসারদের আটক করে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় শেক্সপীয়ার থানায়। পাশাপাশি, সিজিও কমপ্লেক্স, নিজাম প্যালেস ঘেরাও করে কলকাতা পুলিস। জয়েন্ট ডিরেক্ট পঙ্কজ শ্রীবাস্তবকেও ঘরবন্দি করে ফেলা হয়। এই পরিস্থিতিতে সিবিআই অফিস চত্বরে নামানো হয় আধাসেনা।
আরও পড়ুন, রাজীব কুমারকে জেরা করতে '১০০টি' প্রশ্ন তৈরি সিবিআই-এর : সূত্র
সেই ঘটনায় সোমবার সকালে রাজ্যপালকে ফোন করে উষ্মাপ্রকাশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। হেনস্থার ঘটনাকে 'অভূতপূর্ব ও অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক' বলে উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে রাজ্যপালের কাছে সামগ্রিক ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়। নির্দেশ পাওয়ার পরই রাজভবনের তরফে মেল করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় গোপন রিপোর্ট। খুব স্বাভাবিকবাবেই রিপোর্টে কী লেখা আছে, তা জানা যায়নি।