কেন তলব গৌতম দেবকে?
শুক্রবার ভবানী ভবনে ডেকে পাঠানো হয় প্রাক্তন আবাসন মন্ত্রী গৌতম দেবকে। ২০০৭ সালে রাজ্য আবাসন পর্ষদ এবং এক বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে আবাসন গড়ার জমি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। আর সেই অভিযোগেরই তদন্তে ডাকা হয়েছিল গৌতম দেবকে। মামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বারে বারেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার অভিযোগ উঠল। ঘটনা কি আদৌ তাই? ২৪ ঘণ্টার বিশেষ প্রতিবেদন।
শুক্রবার ভবানী ভবনে ডেকে পাঠানো হয় প্রাক্তন আবাসন মন্ত্রী গৌতম দেবকে। ২০০৭ সালে রাজ্য আবাসন পর্ষদ এবং এক বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে আবাসন গড়ার জমি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। আর সেই অভিযোগেরই তদন্তে ডাকা হয়েছিল গৌতম দেবকে। মামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বারে বারেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার অভিযোগ উঠল। ঘটনা কি আদৌ তাই? ২৪ ঘণ্টার বিশেষ প্রতিবেদন।
শুক্রবার এক নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী রইল রাজ্য গোয়েন্দা পুলিসের সদর দফতর ভবানী ভবন। আবাসন দফতরের জমি বিলি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন আবাসনমন্ত্রী গৌতম দেবকে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন গোয়েন্দারা।
যে জমি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত: মহেশতলা এলাকার মৌজা জোত-শিবরামপুর আর পারুই।
জমির পরিমাণ ৪৫.৬৯ একর।
অধিগ্রহণে খরচ আট কোটি টাকা।
জমি অধিগৃহীত হয় ১৯৯৩ সালে।
হেডিং-আবাসন পর্ষদের উদ্যোগ
শিল্প দফতরকে প্রথমে জমিটি দিতে চাওয়া হয়েছিল।
আবাসন মেলায় প্রচার করে জমিটিতে আবাসন গড়ার চেষ্টা।
অন্য বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আবাসন গড়ার চেষ্টা হয়।
প্রত্যেকটি উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। কারণ--
জমিটিতে যাতায়াতের জন্য রাস্তা ছিল না।
জমির একটা বড় অংশ বেদখল হয়েছিল। যা দখল করতে গেলে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হোত।
যে টাকার বিনিময়ে যৌথ উদ্যোগে আবাসন পর্ষদ এখানে আবাসন গড়তে চাইছিল, তাতে রাজি হচ্ছিল না কোনও সংস্থাই।
এরপর দুহাজার সাত সালে এই জমিটিতে আবাসন গড়ার জন্য বেঙ্গল গ্রিনফিল্ড হাউজিং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। ১৬ কোটি ৩৬ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকায় যৌথ উদ্যোগে জমিটিতে আবাসন গড়ার অনুমোদন দেওয়া হয় ওই সংস্থাকে।
শুক্রবার প্রায় ২ ঘণ্টা এই জমিতে আবাসন গড়া নিয়ে প্রায় পঁচিশ-তিরিশটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয় প্রাক্তন আবাসনমন্ত্রী গৌতম দেবের কাছ থেকে। নথি দিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, কোন আইন অনুসারে এবং কীভাবে আবাসন পর্ষদ যৌথ উদ্যোগে আবাসন তৈরি করে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে প্রাক্তন আবাসনমন্ত্রী গৌতম দেবকে কেন ডাকা হল ভবানী ভবনে? সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি ঘটনায় রাজ্য গোয়েন্দা পুলিস বা সিআইডিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি আদালতের নির্দেশে সিআইডির কাছ থেকে তদন্তভার নিয়ে সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। অথচ দীর্ঘদিন ধরে সিআইডির হাতে জমে থাকা বহু মামলায় চার্জশিট পর্যন্ত জমা পড়েনি। সে কারণেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার তথ্য জোরালো হয়েছে। আর নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থেকেছে ভবানী ভবন।