বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস: "গো ইয়েলো কলকাতা," লাইফলাইনের উদ্যোগে হাত বাড়ালেন পার্ণো, সুজয় প্রসাদ, ঊষা উথুপ

বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসে "গো ইয়েল কলকাতা ক্যাম্পেনের" দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী পার্ণো মিত্র, গায়িকা ঊথুপ, সুজয় প্রসাদ চ্যাটার্জী-সহ আরও অনেকে।

Updated By: Sep 10, 2020, 07:19 PM IST
বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস: "গো ইয়েলো কলকাতা," লাইফলাইনের উদ্যোগে হাত বাড়ালেন পার্ণো, সুজয় প্রসাদ, ঊষা উথুপ
ছবি- ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম

নিজস্ব প্রতিবেদন: অবসাদ, আত্মহত্যা! করোনা আতঙ্কের আবহে মানুষকে আরও অসহায় করে দিচ্ছে এই দুটি শব্দ। প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন আত্মহত্যা করেন। প্রতি বছর সারা বিশ্বে আত্মহত্যায় প্রাণ হারান ৮ লক্ষ মানুষ। আত্মহত্যা এখন মহামারী। করোনা কালে একে অন্যের মধ্যে তৈরি হয়েছে সামাজিক দূরত্ব। যার ফলে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবনতা।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সবথেকে বেশি আত্মহত্যা হয় ভারতে। কিন্তু আত্মহত্যা রোখা সম্ভব। "যদি বন্ধু হও, যদি বাড়াও হাত।" হাত বাড়িয়ে হাসি-কান্না ভাগ করে নিলেই অনেকাংশে রোখা যাবে আত্মহত্যা। "শুধু কথা বলা হয়নি বলে কত সম্পর্ক ভেঙে গেছে, শুধু কথা বলা হয়নি বলে কত মানুষ আমাদের থেকে দূরে চলে গেছে।" এই দূরে চলে যাওয়া আটকাতেই আপনার মনের কথা শোনার জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালায় লাইফলাইন ফাউন্ডেশন।

আজ বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। হলুদ আশার রঙ, তাই আত্মহত্য়া প্রতিরোধে 'গো ইয়েলো কলকাতা ক্যাম্পেন' শুরু করেছে লাইফলাইন ফাউন্ডেশন। যেখানে ১০ সেপ্টেম্বর হলুদ কিছু পরে আশা জোগাবে সারা কলকাতা।  সুক্সম সিং ও তাঁর স্বামী রবীন্দ্র সিংয়ের তৈরি এই সংস্থা রোজ ৪০ থেকে ৪৫ জনের ফোন পায়। সকলের অবসাদের গল্প শোনে, বদলে দেয় উঠে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরনা।

বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসে "গো ইয়েলো কলকাতা ক্যাম্পেনের" পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী পার্ণো মিত্র, গায়িকা ঊথুপ, সুজয় প্রসাদ চ্যাটার্জী-সহ আরও অনেকে। পার্ণোর কথা অনুযায়ী, তিনিও অবসাদের সঙ্গে লড়েছেন। এখানে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। সকলের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত। সুজয় প্রসাদ চ্যাটার্জীও জানিয়েছেন, অত্মহত্যার ফলে তাঁকেও ছেড়ে চলে গিয়েছেন তাঁর বন্ধু। তাই কথা বলা অত্যন্ত জরুরি। হলুদ কিছু পরে সকলকে এই ক্যাম্পেনের পাশে থাকতে আর্জি জানিয়েছেন ঊষা উথুপও।

 

দীপিকা পাডুকোনের লাইভ,লাভ, লাঘ ফাউন্ডেশন কিংবা বিফ্রেন্ডার্স, সামারিটানস এই সংস্থাগুলিও এই কর্মকাণ্ডের অংশ। বিফ্রেন্ডার্স ইন্ডিয়ার কোষাধ্যক্ষ শ্রীরঞ্জিনি জোশীর কথা অনুযায়ী, আত্মহত্যার আগে কেউ যদি একবার অবসাদগ্রস্ত ওই মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাহলে রোখা যেতে পারে আত্মহত্যা। এছাড়াও যারা আত্মহত্যার চেষ্টা করে বেঁচে গিয়েছেন তাদের কাছ থেকেও শুনতে মিলেছে কথা না বলতে পারার অবসাদ। তাই কথা বলুন, প্রাণ খুলে বাঁচুন, আত্মহত্যাকে দূরে ঠেলে দিন।

আরও পড়ুন: আবাসনের তিন তলার ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ? রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার ৩ বছরের শিশুকন্যা-সহ মহিলা

.