বাজারে আগুন, তবু লক্ষ্ণীপুজোর ভক্তিতে খামতি নেই
মা চলে গেছেন। ঘাটে ঘাটে কাঠামো কঙ্কাল তোলার কাজও প্রায় শেষের পথে। বইতে শুরু করেছে হিমেল হাওয়া। এসবের মাঝে আজ মা লক্ষ্মীকে ঘরে আনার দিন। সন্ধ্যে নামতেই ঘরে ঘরে বেঁজে উঠবে শাঁখ, কাঁসর, ঘণ্টা। আলোয় সেজে উঠবে উঠোন। তারই প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বাঙালি।
মা চলে গেছেন। ঘাটে ঘাটে কাঠামো কঙ্কাল তোলার কাজও প্রায় শেষের পথে। বইতে শুরু করেছে হিমেল হাওয়া। এসবের মাঝে আজ মা লক্ষ্মীকে ঘরে আনার দিন। সন্ধ্যে নামতেই ঘরে ঘরে বেঁজে উঠবে শাঁখ, কাঁসর, ঘণ্টা। আলোয় সেজে উঠবে উঠোন। তারই প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বাঙালি।
কিন্তু ধন আর যশের দেবী লক্ষ্মীর আবাহনের দিনেও মধ্যবিত্তের কপাল চওড়া হচ্ছে না। চলতি আর্থিক বছরে দফায় দফায় জ্বালানীর দাম বৃদ্ধি; ঊর্ধমুখি বাজার দর আর বাসে ট্রামে নাজেহাল করা দিন নামচায় জেরবার সকলেই। শত চাপ উপেক্ষা করে, মাস শেষের বাড়ন্ত বাজেটেই লক্ষ্মী পুজো সারতে মরিয়া আম বাঙালি। গত কয়েক দিন ধরেই চড় চড় করে বেড়েছে বাজার মূল্য। কাঁচা সবজী থেকে মশলা সবেতেই আগুন। ফলের বাজারেও হাত দেওয়ার সাহস করে উঠতে পারছেন না অনেকেই। কলকাতার বেশ কয়েটি বাজারের দর তালিকা বলছে, পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি, পাকা পাঁপে বিকোচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে, আপেলর দাম ছুঁয়েছে ১০০ টাকা, তরমুজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, বেদানা ১৪০ টাকা। একটা গোটা আনারস কিনতে গুনতে হবে ৩০ টাকা। জলের দর নেই পানিফলেরও। পানিফলের দর কোথাও ৩০ আবার কোথাও ৪০ টাকা।
এসবের মাঝেও পুজোর জোগাড়ে ব্যস্ত বাড়ির মহিলারা। ভিড় বাড়ছে দোকানে। পুজোর সরঞ্জাম থেকে সাজসজ্জা বা প্রসাদ, সময়ের অভাবে এ সব হাতে তৈরি না করে সকলেই চাইছেন দোকান থেকে কিনে নিতে। আর চাহিদা থাকায় যোগানেরও অভাব নেই। ব্যস্ত সময়ে দম ফেলার ফুরসত্ নেই। সময়ের বড় অভাব। পরিশ্রমও প্রচুর। লক্ষ্মীপুজোর আগে ঘরে আলপনা দেওয়া, নাড়ু তৈরি করা, এ সবের চল ক্রমশ কমছে। সকলেই চাইছেন রেডিমেড জিনিস। তাই, ধানের ছড়া থেকে পদ্ম ফুল, তিলের নাড়ু, মুড়ির মোয়া থেকে প্রদীপের সলতে-সবই পাওয়া যাচ্ছে এক প্যাকেটে। মিলছে গঙ্গামাটি, রেডিমেড আলপনাও।