রদবদলে রাজনৈতিক অভিসন্ধির গন্ধ পাচ্ছে তৃণমূল

শান্তি বিঘ্নিত করতেই রাজ্য থেকে তিনজনকে মন্ত্রী করা হয়েছে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, একজনকেও পূর্ণমন্ত্রী না করে আদতে রাজ্যের মানুষকে বঞ্চিত করেছে কংগ্রেস। তৃণমূলকে উত্ত্যক্ত করতেই এই তিনজনকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য  পঞ্চায়েতমন্ত্রীর। নতুন তিন মন্ত্রীকে শাউটিং ব্রিগেড বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। একইসঙ্গে এদিন সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন রাষ্ট্রপতির ভূমিকা নিয়েও।     

Updated By: Oct 28, 2012, 10:32 PM IST

শান্তি বিঘ্নিত করতেই রাজ্য থেকে তিনজনকে মন্ত্রী করা হয়েছে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, একজনকেও পূর্ণমন্ত্রী না করে আদতে রাজ্যের মানুষকে বঞ্চিত করেছে কংগ্রেস। তৃণমূলকে উত্ত্যক্ত করতেই এই তিনজনকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য  পঞ্চায়েতমন্ত্রীর। নতুন তিন মন্ত্রীকে শাউটিং ব্রিগেড বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। একইসঙ্গে এদিন সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন রাষ্ট্রপতির ভূমিকা নিয়েও।     
বিভিন্ন ইস্যুতে বার বার হুমকি, শেষপর্যন্ত ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ইউপিএ সরকার ছেড়ে বেরিয়ে এলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে নরম মনোভাবই দেখিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। এমনকি,  অধীর চৌধুরী, দীপা দাশমুন্সির মতো কট্টর মমতা বিরোধীদের আপত্তিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। পরিস্থিতি  বদলেছে। অধীর ও দীপাকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে রাজ্যে তৃণমূল বিরোধিতার সুরকে চড়া করল কংগ্রেস হাইকমান্ড। এই দুই নেতাকে মন্ত্রী করার মধ্যে দিয়ে আসলে তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া বার্তাই দিল কংগ্রেস শীর্যনেতৃত্ব। আর বার্তা পাওয়ার পরই প্রত্যাশিত আক্রমণ শানাল তৃণমূল কংগ্রেসও। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত করতেই তিনজনকে প্রতিমন্ত্রী করেছে কংগ্রেস।
 
উত্তরবঙ্গ থেকে তিনজনকে মন্ত্রী করার পিছনে কংগ্রেসের ছক কাজ করছে বলে দাবি পঞ্চায়েত মন্ত্রীর। তবে, শুধু কংগ্রেস হাইকমান্ড নয়, এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের তোপের মুখে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও। তৃণমূলের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন প্রত্যাহার করায় এই মুহুর্তে কেন্দ্রীয় সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। বাইরে থেকে সমর্থনের কথা বললেও এখনও পর্যন্ত সরকারকে সমর্থনের কথা লিখিতভাবে জানাননি মুলায়ম ও মায়াবতী। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির উচিত ছিল সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমান করতে বলা। দাবি সুব্রতবাবুর।
 
তৃণমুলের আক্রমণকে পাত্তা দিতে রাজি নন কংগ্রেস নেতা অরুনাভ ঘোষ। তাঁর পাল্টা দাবি, প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার ভয়েই এসব কথা বলছেন রাজ্যের তৃণমূল নেতারা। মমতা- মুকুলের ছেড়ে আসা রেলমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে এবার কট্টর মমতা বিরোধী অধীর চৌধুরী। রাজ্যের ঘোষিত রেলপ্রকল্পগুলির রূপায়নে তাঁর ভূমিকা কী হয় এখন সেদিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী। পাশাপাশি, দীপা-অধীরের মন্ত্রী হওয়ার পর কংগ্রেস -তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্ক ভবিষ্যতে কোন দিকে গড়ায় সেদিকেও চোখ রাখছেন রাজনৈতিক।

.