বাবা ওদের ঢিসুম ঢিসুম করে দেবে তো? বারবার প্রশ্ন করছে মেয়ে, ২৪ ঘণ্টাকে বললেন মা
নির্যাতিতার মায়ের আক্ষেপ, মেয়েকে যত্নে বড় করতে টাটা কমিউনিকেশনসের চাকরি ছেড়েছি। সব সময় ওকে নজরে রাখতাম। কখনো কোনও অযত্ন হতে দিইনি। পুলকারে না পাঠিয়ে রোজ নিজে স্কুলে দিয়ে আসতাম। স্কুলের ভিতরের গেট পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আসতাম মেয়েকে। তার পরও এমন হল।
নিজস্ব প্রতিবেদন : যখন তখন কেঁদে উঠছে মেয়ে, মুখে তুলছে না কিছু, জিডি বিড়লা কাণ্ডে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের ফাঁসির দাবি তুলে এমনটাই জানালেন নির্যাতিতা শিশুর মা। সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রথম মুখ খুলে ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরার সামনে একথা বললেন তিনি।
শনিবার সকালে ২৪ ঘণ্টাকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কারে শিশুটির মা জানান, ভয়ানক মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছে মেয়ে। যখন তখন ডুকরে কেঁদে উঠছে। যে দেখা করতে আসছে তাকেই বলছে, 'আমার রক্ত বার করে দিয়েছে ওরা।' বাবাকে বলছে, 'ওদের ঢিসুম ঢিসুম করে দেবে তো'। যতক্ষণ হাসপাতালে ছিল মুখে তোলেনি কিছু। তার পরও কিছুই খেতে চাইছে না।
আরও পড়ুন- বিচার চাইছে বাংলা! জিডি বিড়লা কাণ্ডে সকলের মুখে এখন একটাই দাবি
স্কুল কর্তৃপক্ষের যাবতীয় সাফাই খারিজ করে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে বেরোনোর সময় মেয়ে অঝোরে কাঁদছিল। কী করে স্কুল কর্তৃপক্ষ সেকথা অস্বীকার করতে পারে? ওকে সেই সময় স্কুলের গেটে হাজির সবাই কাঁদতে দেখেছে।
নির্যাতিতার মায়ের আক্ষেপ, মেয়েকে যত্নে বড় করতে টাটা কমিউনিকেশনসের চাকরি ছেড়েছি। সব সময় ওকে নজরে রাখতাম। কখনো কোনও অযত্ন হতে দিইনি। পুলকারে না পাঠিয়ে রোজ নিজে স্কুলে দিয়ে আসতাম। স্কুলের ভিতরের গেট পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আসতাম মেয়েকে। তার পরও এমন হল।
মেয়ের ভবিষ্যত্ নিয়েও চিন্তিত মা। মেয়েকে আর পাঠাবেন না ওই স্কুলে। অন্যদিকে পঠনপাঠন শুরু হয়ে গিয়েছে বাকি সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সেক্ষেত্রে মেয়েকে কোথায় ভর্তি করবেন তা নিয়ে ভাবনায় তিনি।