রাতারাতি জিডি বিড়লা স্কুলে বসল সিসিটিভি, বিক্ষোভের ওপর নজরদারির অভিযোগ অভিভাবকদের
রাতারাতি জিডি বিড়লা স্কুলে সিসিটিভি বসাল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের বাইরে থেকে তিনটি সিসিটিভি ক্যামেরা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। যে ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ, অভিভাবকদের গতিবিধির উপর নজরদারি চালাতেই এই সিসিটিভি বসানো হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিনিধি : রাতারাতি জিডি বিড়লা স্কুলে সিসিটিভি বসাল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের বাইরে থেকে তিনটি সিসিটিভি ক্যামেরা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। যে ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ, অভিভাবকদের গতিবিধির উপর নজরদারি চালাতেই এই সিসিটিভি বসানো হয়েছে।
শুক্রবার নার্সারির ছাত্রীর উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। স্কুলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, তিন বছর আগেও এই জিডি বিড়লা স্কুলে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। তখন কর্তৃপক্ষের তরফে স্কুল চত্বরে সিসিটিভি বসানোর আশ্বাস দেওয়া হলেও, এই তিন বছরে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে কিছুই করা হয়নি। এদিকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে শুক্রবার রাতে রাতারাতি বসানো হল সিসিটিভি। তবে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে নয়, অভিভাবকদের ওপর নজরদারি চালাতে।
আরও পড়ুন, জিডি বিড়লা কাণ্ডে গ্রেফতার দ্বিতীয় অভিযুক্ত শিক্ষক মফিজুদ্দিন
অভিভাবকদের আরও অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা একটি গার্জিয়ান ফোরামের দাবি জানিয়ে এলেও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে তা করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি এই ঘটনার পরেও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে অভিভাবক - শিক্ষক বৈঠক কেন ডাকা হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, ৩০ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪৫ নাগাদ জিডি বিড়লা সেন্টার ফর এডুকেশনের অধ্যক্ষকে ফোন করেন যাদবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ। এক শিক্ষকের বিষয়ে খোঁজখবর নেন ওই অফিসার। কারণ জিজ্ঞাসা করায় অধ্যক্ষকে বলা হয় এক লোয়ার ইনফ্যান্ট পড়ুয়ার অভিভাবকরা শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন, জিডি বিড়লা কাণ্ডে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী, স্কুলের কাছে রিপোর্ট তলব বোর্ডের
এরপর, সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের যে নম্বর স্কুল রেকর্ডসে রয়েছে, অধ্যক্ষ তাতে ফোন করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, ফোন সুইচড অফ ছিল। অধ্যক্ষ এরপর সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। যোগাযোগ করা হয় শ্রেণি শিক্ষিকা ও প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে। অধ্যক্ষকে তাঁরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টেয় ওই পড়ুয়া তার মায়ের সঙ্গে বাড়ি চলে গেছে। স্কুল এরপর পরবর্তী অন্তর্তদন্ত শুরু করে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তদন্তে পুলিসকে পূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও করা হবে। তদন্ত শেষ হওয়ার পর এনিয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। মধ্যশিক্ষা পর্ষদদের প্রতিনিধিদেরও স্কুলের তরফে একই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, বিচার চাইছে বাংলা! জিডি বিড়লা কাণ্ডে সকলের মুখে এখন একটাই দাবি