Gangasagar Mela 2023: কুয়াশায় বানচাল ক্রুজ, গঙ্গাসাগর যাত্রা অধরা ভিনরাজ্যের বহু পর্যটকের
বিগত তিন বছর ধরে এই পরিষেবা দেওয়া বেসরকারি ক্রুজ কোম্পানির এই অনলাইন বিজ্ঞাপন দেখে কেউ দেড় মাস, কেউ বা দু মাস আগে টিকিট বুক করেন। মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, বিহার, মধ্যপ্রদেশ অথবা ঝাড়খণ্ড থেকে আসা পর্যটকরা কলকাতার বিভিন্ন হোটেলে রাত্রিবাসের পর কলটাইম মিলিয়ে পৌছে যান মিলেনিয়াম জেটি ঘাটে।
অয়ন ঘোষাল: সাগরে পুণ্যস্নানে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে শহরে এসে বিপাকে ভিন রাজ্যের ১২১ পর্যটক। ভোর পাঁচটা থেকে মিলেনিয়াম পার্ক জেটিতে ভোগান্তির শিকার তাঁরা। দীর্ঘ নাটকের পর অবশেষে টাকা রিফান্ড করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে বেসরকারি জলযান সংস্থা। পুলিসের হস্তক্ষেপে বিকল্প ক্রুজে সাগরগামী হলেন কয়েকজন।
ভোর পাঁচটা নাগাদ মিলেনিয়াম জেটিতে একে একে জড়ো হন অনলাইনে টিকিট কাটা ১২১ পূণ্যার্থী। সড়ক পথে বারবার ব্রেক জার্নি নয়। কলকাতা থেকে সরাসরি জলপথে গঙ্গাসাগর বেনুবন। সেখানে এক ঘণ্টা সময় কাটিয়ে স্নান সেরে ক্রুজেই ফিরে লাঞ্চ। তারপর সোজা কলকাতা।
বিগত তিন বছর ধরে এই পরিষেবা দেওয়া বেসরকারি ক্রুজ কোম্পানির এই অনলাইন বিজ্ঞাপন দেখে কেউ দেড় মাস, কেউ বা দু মাস আগে টিকিট বুক করেন। মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, বিহার, মধ্যপ্রদেশ অথবা ঝাড়খণ্ড থেকে আসা পর্যটকরা কলকাতার বিভিন্ন হোটেলে রাত্রিবাসের পর কলটাইম মিলিয়ে পৌছে যান মিলেনিয়াম জেটি ঘাটে।
ঘাটে এসেই ভোগান্তি সকলের। সকলেই দেখেন সংস্থার কাউন্টার বন্ধ। পাশাপাশি বন্ধ কাউন্টারের গায়ে দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বর। আতান্তরে পরে মিলেনিয়াম পার্কে কর্তব্যরত দুই পুলিসকর্মীকে গোটা বিষয়টি জানালেও তারা সুরাহা করতে পারেননি এই সমস্যার।
আরও পড়ুন: Home Guard Recruitment: ৫৬৫ টাকায় ৬ মাসের চুক্তি! হোমগার্ড নিয়োগে জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে
বেলা বাড়তে থাকে এবং একইসঙ্গে চড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ। পরিস্থিতি জটিল আকার নেওয়ায় ঘটনাস্থলে ফোর্স নিয়ে এসে পৌছান নর্থ পোর্ট থানার ওসি। যদিও তখনও পাত্তা নেই সংস্থার। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সংস্থার এক্সিকিউটিভ মিলি দাস ঘটনাস্থলে পৌছাতেই উত্তেজনা কয়েক গুণ বাড়ে।
আরও পড়ুন: 'কেন্দ্রের টাকায় রাজ্যের নেতাদের বাড়ি-গাড়ি-গয়না, জেলে ঢোকানো উচিত', মন্তব্য দিলীপের
তাঁর সঙ্গে থাকা এক সহকর্মী হঠাৎ তেড়ে যান সংবাদ মাধ্যমের কয়েক জন প্রতিনিধির দিকে। পরে পুলিসের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও মূল সমস্যার সমাধান অধরাই থেকে যায়। সড়ক পথে পূন্যার্থিদের গঙ্গাসাগর পাঠানোর বিকল্প দেওয়া হলেও তা খারিজ করেন সিংহভাগ পুণ্যার্থী।
তাঁরা কুয়াশার তত্বও মানতে অস্বীকার করেন। অবশেষে বেলা বারোটায় জট কাটে। ১২১ জনের টাকা রিফান্ড করা হয়। এর মধ্যে ৭৯ জন অপেক্ষাকৃত বেশী টাকায় অন্য একটি বেসরকারি সংস্থার ক্রুজে গঙ্গাসাগর যাবেন বলে ঠিক করেন। গোটা ঘটনায় পুলিস মধ্যস্থতা করে। বাকিরা টাকা রিফান্ড নিয়ে ফিরে যান।