ত্রিফলা, টোকেনের পর জ্বালানি তেল কেলেঙ্কারিতে কলকাতা পুরসভা
ত্রিফলা, টোকেনের পর এবার জ্বালানি তেল কেলেঙ্কারি ইস্যুতে অস্বস্তিতে কলকাতা পুরসভা। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁরা উদ্যোগ নিয়ে অডিট করিয়ে ছেন বলেই কোটি কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে এসেছে। কিন্তু বিরোধীদের দাবি, একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এলেও পুরসভার তরফে নজরদারির অভাব রয়েছে। একইসঙ্গে অডিটের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী রূপা বাগচী।
ত্রিফলা, টোকেনের পর এবার জ্বালানি তেল কেলেঙ্কারি ইস্যুতে অস্বস্তিতে কলকাতা পুরসভা। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁরা উদ্যোগ নিয়ে অডিট করিয়ে ছেন বলেই কোটি কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে এসেছে। কিন্তু বিরোধীদের দাবি, একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এলেও পুরসভার তরফে নজরদারির অভাব রয়েছে। একইসঙ্গে অডিটের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী রূপা বাগচী।
কলকাতা পুরসভার ২০১৩ সালের ইন্টারনাল অডিটে সামনে এসেছে গাড়ির জ্বালানি খাতে কয়েক কোটি টাকা নয়ছয়ের হিসেব। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করেছেন
তাঁদের আমলেই অডিট করানো হয়েছে, তাই এইসব কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে এসেছে। বাম আমলে অডিট না হওয়ায় কেলেঙ্কারিগুলি ধামাচাপা ছিল। উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
যদিও মেয়রের এই সাফাই মানতে নারাজ বিরোধীরা। কংগ্রেস কাউন্সিলর মালা রায়ের অভিযোগ, ত্রিফলা থেকে শুরু করে টোকেন বর্তমানে জ্বালানি। একের পর এক কেলেঙ্কারিতে পুরসভার নজরদারির বড়সড় অভাব রয়েছে।
যে অডিট রিপোর্ট ঘিরে এই বিপুল পরিমাণ আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে এসেছে, সেই রিপোর্টের স্বচ্ছতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী রূপা বাগচী। রিপোর্টে তাঁর গাড়ি ব্যবহার নিয়ে ভুল তথ্য প্রকাশিত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
পুরসভা সূত্রে খবর, শুধুমাত্র অফিসারদের জন্য ব্যবহৃত ৫০০টি গাড়ির ভাড়া ও তেলের জন্য পুরসভার বছরে খরচ হয় প্রায় ১৪ কোটি টাকা। পুরসভার অন্যান্য বড় গাড়ির খরচ ধরা হলে এই খরচ ১৪ কোটি থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ২০ কোটিরও বেশি। অডিটের সময় পুরসভার সমস্ত দফতরকে চিঠি দিয়ে গাড়ির তেলের খরচ নিয়ে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ঊনত্রিশটি দফতরের মধ্যে ছটি দফতর সঠিক নথিই জমা দিতে পারেনি। লগবুক জমা দিতে পারেনি সাতটি দফতর। সঠিক স্লিপ জমা দিতে পারেনি আরও সাতটি দফতর। সব মিলিয়ে জ্বালানি তেল নিয়ে পুরসভার অন্তবর্তী অডিট রিপোর্টের গরমিল যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলেছে পুরকর্তাদের। এখনই কড়া হাতে দমন করতে না পারলে ভবিষ্যতে পুরসভার অর্থের অপচয় লাগামছাড়া আকার ধারণ করবে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।