আমার ধর্ম নিয়ে ভেবো না, কাজটা দেখো: কলকাতার মেয়র হয়েই আত্মবিশ্বাসী ফিরহাদ
এই জয়ে কোনও চমক ছিল না। প্রত্যাশিত ও অবধারিত জয়ের আগেই ফিরহাদ জি ২৪ ঘণ্টাকে বলেছিলেন, “আমার কাছে চেয়ার বা পদ বড় কথা নয়। দায়িত্বটাই মুখ্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জয় যে নিশ্চিত ছিল, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র কোনও সংশয় ছিল না। ১২১ টি ভোট পেয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র হলেন ফিরহাদ হাকিম। বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিতকে ৫ টি ভোট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল।
সোমবার কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নির্বাচন হয় ছোট লালবাড়িতে। ১২১ জন তৃণমূল কাউন্সিলরই উপস্থিত ছিলেন। ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় শারীরিক অসুস্থতার কারণে নির্বাচনে উপস্থিত থাকতে পারেননি। সবাইকে চমকে দিয়ে বেলা দেড়টার পর ছোট লালবাড়িতে উপস্থিত হন শোভন চট্টোপাধ্যায়। আড়াইটেয় শেষ হয় নির্বাচন। তারপর মেয়র হিসাবে ফিরহাদ হাকিমের জয় ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা।
এই জয়ে কোনও চমক ছিল না। প্রত্যাশিত ও অবধারিত জয়ের আগেই ফিরহাদ জি ২৪ ঘণ্টাকে বলেছিলেন, “আমার কাছে চেয়ার বা পদ বড় কথা নয়। দায়িত্বটাই মুখ্য। মেয়র হিসাবে কলকাতার উন্নয়নই প্রথম ও প্রধান কাজ। সেটাই মন দিয়ে করার চেষ্টা করব।” এদিন মেয়র হিসাবে শপথ গ্রহণের সময়ও সেই একই কথা ধরা পড়ল ফিরহাদ হাকিমের গলায়। তিনি বলেন, “ দল আমাকে অনেক দায়িত্ব দিয়েছে। আমি সব দায়িত্ব সততার সঙ্গে পালন করতে চাই।”
শুধু তাই নয়, বিরোধীদের মুখে সপাটে তাঁর জবাব, “ আমার নাম-ধর্ম নিয়ে বিচার-বিবেচনা করতে হবে না। আমার কাজটাই দেখো।” এদিন বাঙালির ঐতিহ্য মেনেই ধুতি পরে মেয়র হিসাবে শপথবাক্য পাঠ করেন ফিরহাদ হাকিম। ডেপুটি মেয়র হিসাবে অতীন ঘোষকে শপথবাক্য গ্রহণ করান ফিরহাদ হাকিম।
এদিন ফিরহাদ হাকিম নির্বাচনে জয়ের পরই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। শহরের নতুন মেয়রের বাড়ির সামনে এখন যেন উত্সবের মেজাজ।