জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশে ফিরহাদ কন্যা, বিপদে 'আশ্রয়' নেওয়ার ডাক কেপিসিতে

সরকারি হাসপাতালে জুনিয়ার ডাক্তারদের কর্মবিরতি নিয়ে পুলিস প্রশাসন এবং দলের নেতাদের চুপ থাকা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তোলেন শাব্বা হাকিম।

Updated By: Jun 14, 2019, 11:18 AM IST
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশে ফিরহাদ কন্যা, বিপদে 'আশ্রয়' নেওয়ার ডাক কেপিসিতে

নিজস্ব প্রতিবেদন : জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভে সামিল পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মেয়ে শাব্বা হাকিম। ফিরহাদ কন্যা নিজেও পেশায় একজন চিকিত্সক। ফেসবুকে একটি পোস্ট করে, প্রয়োজন বুঝলে জুনিয়র ডাক্তাদের যাদবপুর কেপিসি হাসপাতালে আশ্রয় নেওয়ার কথা বলেছেন শাব্বা হাকিম।

এসএসকেএম-এ উত্তেজনা ছড়াতেই ফেসবুকে একটি পোস্ট করে শব্বা হাকিম লিখেছেন, এই পোস্টটি 'ডক্টরস বাই কজ'-এর তরফে। সেই পোস্টে লেখা, "যদি তোমরা কেউ নিজেকে নিরাপদ নয় বোঝো, তাহলে কেপিসি-তে চলে এস।" দেখুন সেই পোস্টটি-

উল্লেখ্য, গতকাল রাতেই ফেসবুকে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সমর্থনে প্রথম পোস্টটি করেন ফিরহাদ কন্যা। সরকারি হাসপাতালে জুনিয়ার ডাক্তারদের কর্মবিরতি নিয়ে পুলিস প্রশাসন এবং দলের নেতাদের চুপ থাকা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তোলেন শাব্বা হাকিম। বিস্ফোরক ফিরহাদ কন্যা ফেসবুকে লেখেন, "যাঁরা বলছেন অন্য রোগীদের কী দোষ, দয়া করে তাঁরা প্রশাসনকে প্রশ্ন করুন  কেন সরকারি হাসপাতালে মোতায়েন পুলিসকর্মীরা চিকিত্‍সকদের নিরাপত্তা দিতে কিছু করতে পারেন না? দয়া করে তাঁদের প্রশ্ন করুন যে যখন দুই ট্রাক ভর্তি দুষ্কৃতী হাসপাতালে ঢুকল, তখন কেন তাদের সঙ্গে সঙ্গে বাধা দিয়ে, ফেরত পাঠানো হল না? প্রশ্ন করুন, কেন সরকারি হাসপাতালে দাপিয়ে বেড়ায় গুন্ডারা? যখন তখন মারধর করা হয় ডাক্তারদের?"

এখানেই শেষ নয়। এরপরই সরাসরি তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশে তোপ দাগেন শাব্বা হাকিম। পেশায় চিকিত্সক ফিরহাদ কন্যা লিখেছেন, "আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার যেমন আছে, তেমনই কর্মক্ষেত্রেও নিরাপত্তা আমাদের অধিকার। একজন তৃণমূল সমর্থক হিসেবে আমার লজ্জা লাগছে আমার দলের নেতাদের নিশ্চুপ হয়ে থাকা এবং কোনও পদক্ষেপ না করা নিয়ে।"

উল্লেখ্য, "রাজ্যজুড়ে জুনিয়র ডাক্তাদের আন্দোলন যেমন চলছিল, তেমনই চলবে। মুখ্যমন্ত্রী জোর করতে গেলে ফল ভয়ানক হবে।" সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আরও পড়ুন, রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা, খুলল এসএসকেএম-র ইমার্জেন্সি, বেরিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী

.