তৃণমূলের মিছিলে যোগদান যাদবপুরের নির্যাতিতার বাবার, রাতারাতি বয়ান বদল করে জানালেন আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা নেই
যাদবপুরকাণ্ডে নাটকীয় মোড়। তৃণমূলের মিছিলে যোগ দিলেন নিগৃহীতা ছাত্রীর বাবা। গত শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে যাদবপুরকাণ্ডের জন্য উপাচার্যকেই কাঠগড়ায় তুলে ছিলেন তিনি। কিন্তু, শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে কথা বলার পরই আজ তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিয়ে বললেন, উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের আর কোনও প্রয়োজন নেই।
কলকাতা: যাদবপুরকাণ্ডে নাটকীয় মোড়। তৃণমূলের মিছিলে যোগ দিলেন নিগৃহীতা ছাত্রীর বাবা। গত শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে যাদবপুরকাণ্ডের জন্য উপাচার্যকেই কাঠগড়ায় তুলে ছিলেন তিনি। কিন্তু, শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে কথা বলার পরই আজ তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিয়ে বললেন, উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের আর কোনও প্রয়োজন নেই।
তখনও উত্তাল কামদুনি। শাস্তির দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলন।সরব নির্যাতিতার পরিবার।
এরপরই ক্যামেরার আড়ালে ঘটে গেল বেশকিছু ঘটনা। নির্যাতিতার পরিবারের একাধিক সদস্য সরকারি চাকরি পেলেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাড়ি। তারপরই বদলে গেল পরিবারের সুর। এখন সরকারের পাশেই নির্যাতিতার পরিবার।
এবারও সেই একই স্ক্রিপ্ট। শুধু স্থান কাল আর পাত্রের পরিবর্তন। যাদবপুরের নিগৃহীতা ছাত্রীর বাবা এই সেদিনও ছিলেন সরকারের বিরুদ্ধে সরব।
তার মেয়ের পাশে দাঁড়াতে রাস্তায় ছাত্রছাত্রীরা।
রবিবার তার বাড়ির দুয়ারে হাজির লালবাতির গাড়ি। প্রায় ঘণ্টাখানের রুদ্ধদ্বার বৈঠক। সোমবার সকালে সোজা নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আরও একপ্রস্ত আলোচনা। তারপর সেখান থেকে সোজা মেয়ো রোডের অবস্থানে।
এখানেই শেষ নয়। যে উপাচার্যের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের সামনে বাছাই বাছাই শব্দ ব্যবহার করতেন তিনি এবার সেই তিনিই আর আন্দোলনের কোনও যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছেন না।
অবশ্য এমন সুর বদল দেখে একেবারেই অবাক নন ছাত্রছাত্রীরা। কারণ গত তিনবছর ধরে শুধু সুর বদল নয় বহু দলবদল দেখতেও এখনও অভ্যস্ত মহানগরী। আর তাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দাবি আন্দোলন চলবে।