রহস্য দানা বাঁধছে ফরজানা আলমের স্বামীর মৃত্যুতে

ডেপুটি মেয়র ফরজানা আলমের স্বামীর মৃত্যু ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। পুলিসের দাবি লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে ডেপুটি মেয়রের স্বামী আবদুল মোমিনের। পরিবার অবশ্য তা মানতে নারাজ। মৃত্যু ঘিরে বেশ কিছু অসঙ্গতির কথা তুলেছেন তাঁরা। রাতে পরিবারের তরফে লেদার কমপ্লেক্স থানায় গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগও দায়ের করা হয়। আজ সকালে হাওড়ার ধূলাগড় থেকে উদ্ধার হয় লরিটি। গ্রেফতার করা হয় লরিচালক সন্তোষ যাদবকে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে গেলে তাঁর কাছে সিআইডি তদন্তের দাবি জানান ফরজানা আলম। বারবার বলেন পুলিসের প্রতি আস্থা নেই তাঁর।

Updated By: Mar 29, 2013, 10:22 AM IST

ডেপুটি মেয়র ফরজানা আলমের স্বামীর মৃত্যু ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। পুলিসের দাবি লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে ডেপুটি মেয়রের স্বামী আবদুল মোমিনের। পরিবার অবশ্য তা মানতে নারাজ। মৃত্যু ঘিরে বেশ কিছু অসঙ্গতির কথা তুলেছেন তাঁরা। রাতে পরিবারের তরফে লেদার কমপ্লেক্স থানায় গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগও দায়ের করা হয়। আজ সকালে হাওড়ার ধূলাগড় থেকে উদ্ধার হয় লরিটি। গ্রেফতার করা হয় লরিচালক সন্তোষ যাদবকে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে গেলে তাঁর কাছে সিআইডি তদন্তের দাবি জানান ফরজানা আলম। বারবার বলেন পুলিসের প্রতি আস্থা নেই তাঁর।
বুধবার রাত আটটা নাগাদ বাড়ি ফেরার কথা ছিল ডেপুটি মেয়র ফরজানা আলমের স্বামী আবদুল মোমিনের। কিন্তু সাড়ে নটা বেজে যাওয়ার পরও স্বামী ফিরছেন না দেখে কসবা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন ফরজানা আলম। জানানো হয় লালবাজারেও।  পরে লেদার কমপ্লেক্স থানা থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয়ের দেহ পাওয়া গেছে বলে খবর আসে কসবা থানায়। কসবা থানার তরফে ওই খবর পৌঁছে দেওয়া হয় মোমিনের বাড়িতে। পরিবারের সদস্যরা কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় পৌঁছে মৃতদেহ সনাক্ত করেন। পুলিস সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধে সাতটা নাগাদ বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন পেশায় আইনজীবী আবদুল মোমিন। বানতলা লেদার কমপ্লেক্সের কাছে পিছন থেকে একটি লরি তাঁকে পিষে দেয়। খবর পেয়েই ডেপুটি মেয়রের বাড়িতে পৌঁছে যান দলের একাধিক নেতামন্ত্রী।
পুলিসের দেওয়া দুর্ঘটনার তত্ত্ব অবশ্য মানতে নারাজ মোমিনের পরিবার। পুলিসের দেওয়া তথ্য নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, পুলিস তাঁদের জানিয়েছিল, দুর্ঘটনাটি বুধবার সন্ধে সাতটা থেকে নটার মধ্যে ঘটেছে। বাইকের নম্বর প্লেট দেখে  কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিস বুঝতে পারে দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তি কসবা থানা এলাকার বাসিন্দা। ফরজানার প্রশ্ন, তারপরও পরিবারের কাছে মোমিনের মৃত্যুর খবর পৌঁছতে সকাল আটটা বেজে গেল কেন? কেনই বা রাতভর একইভাবে ফেলে রাখা হল মৃতদেহ? পুলিস নাকি ফরজানাদের জানিয়েছিল মোমিন রাস্তার ডানদিক অর্থাত্‍ বিপরীত দিক দিয়ে ফিরছিলেন। ফরজানার দাবি, ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা দেখেন বাইকটি পড়ে রয়েছে রাস্তার বাঁ দিকে। সেটা কীভাবে সম্ভব?তাঁদের প্রশ্ন এতবড় দুর্ঘটনার পরেও বাইকটি সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হল না কেন? সূত্রের খবর, পুলিসের তরফে এসব প্রশ্নের সদুত্তর না মেলাতেই বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পুলিসের প্রতি অনাস্থার কথা তোলেন ফরজানা। দাবি করেন সিআইডি তদন্তের। রাতে মোমিনের পরিবারের তরফে লেদার কমপ্লেক্স থানার গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলে যথাযথ তদন্তের দাবি জানানো হয়। 

.