Organ Donation: শহরে ফের অঙ্গদানের নজির, শোক সামলে অন্যের মুখে হাসি ফোটাল বসিরহাটের পরিবার
Organ Donation: বুধবার বিকেলে হাসপাতালের তরফে জগদীশের পরিবারকে জানানো হয়, ব্রেইন ডেথ হয়ে গিয়েছে রোগীর। বৃহস্পতিবার সকালে জানানো হয় জগদীশের শরীরের একাধিক অঙ্গ এখনও সুস্থ রয়েছে। ওইসব অঙ্গ বহু মানুষকে বাঁচিয়ে তুলতে সক্ষম
অয়ন ঘোষাল: ফের মরণোত্তর অঙ্গদানের সাক্ষী থাকল কলকাতা। প্রিয়জন হারানোর শোক নিয়েও অন্যের মুখে হাসি ফোটালেন বসিরহাটের জগদীশ মণ্ডলের বাড়ির মানুষজন। ব্রেন ডেথ হয়ে যাওয়া জগদীশের একাধিক অঙ্গ তাঁরা দিতে সম্মত হলেন মুহূর্ষু রোগীদের।
আরও পড়ুন-শনিবার চলবে না ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো, দুর্ভোগের সম্ভাবনা সল্টলেকগামী যাত্রীদের
গত ২১ আগস্ট কালীঘাট বাস্তুহারা বাজারে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন বসিরহাট মহকুমার বাসিন্দা ৪৮ বছরের জগদীশ মণ্ডল। পেশায় তিনি ছিলেন চিকেন ব্যবসায়ী। রাস্তা পারাপারের সময়ে তাঁকে ধাক্কা মারে বেপরোয়া একটি বাইক। রাস্তায় ছিটকে পড়েন জগদীশ। তাঁর মাথা সজোরে আছড়ে পড়ে ফুটপাতের কিনারায়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। সেদিন বিকেলেই তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে। চিকিত্সকেরা আপ্রাণ চেষ্টা করলেও জগদীশের জ্ঞাণ ফেরানো যায়নি।
বুধবার বিকেলে হাসপাতালের তরফে জগদীশের পরিবারকে জানানো হয়, ব্রেইন ডেথ হয়ে গিয়েছে রোগীর। বৃহস্পতিবার সকালে জানানো হয় জগদীশের শরীরের একাধিক অঙ্গ এখনও সুস্থ রয়েছে। ওইসব অঙ্গ বহু মানুষকে বাঁচিয়ে তুলতে সক্ষম। ওই কথা শোনার পরই সেইদিন সন্ধেতেই অঙ্গদানের নথিতে সই করেন পরিবারের লোকজন। সেই মতোই দেওয়া হল বিভিন্ন অঙ্গ।
এসএসকেএম হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন এক যবুক। তিনি পাচ্ছেন লিভার ও কিডনি। পাশাপাশি দান করা হচ্ছে হার্ট, অন্য একটি কিডনি, স্কিন টিস্যু, কর্নিয়া। সবে মিলিয়ে মোট ৬ অঙ্গ দান করছেন জগদীশের পরিবার। হার্টিটি যাবে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তার জন্য গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করছে পুলিস। স্কিন ও কর্নিয়া জমা থাকবে এসএসকেএমের ব্যাঙ্কে। একটি কিডনি ও লিভার দেওয়া হবে এসএসকেএমের ক্রিটিক্যাল কেয়ারে ভর্তি এক রোগীকে। অন্য কিডনিটি দেওয়া হবে হাসপাতালের আরও এক রোগীকে।
জগদীশ মণ্ডলের এক আত্মীয় বলেন, রাস্তার পার করে খেতে যাচ্ছিল। তখনই একটি বাইক এসে ওকে ধাক্কা মারে। মিনিট কুড়ি ওখানেই পড়েছিল। তারপর এলাকার লোকজন ওকে এনে ভর্তি করে। ২৩ তারিখ বিকেলে আমাদের হাসপাতালের তরফে জানানো হয় ওর ব্রেন ডেথ হয়ে গিয়েছে। তখনই সিদ্ধান্ত নিই ওর অঙ্গ দান করব। ওর স্ত্রী ও সন্তারা রাজী প্রথমে রাজি ছিল না। পরে তাদের বুঝিয়ে রাজি করাই।