Exclusive: রাজ্যে আরএসএস-বিজেপির মোকাবিলায় বাম দাওয়াই বই
বাড়িতে থাকা ধুলো জমা বইয়ের বিনিময়ে অন্য বই নিয়ে যাচ্ছেন বইপ্রেমীরা।
মৌমিতা চক্রবর্তী
আপাতভাবে দেখলে মনে হবে আর পাঁচটা সাধারণ বামপন্থী বইয়ের স্টল। যাদবপুরের এইটবি বাস স্টপে বই বিনিময় উত্সব পালন করছে বামপন্থী ছাত্রযুবরা। সাধারণভাবে এই ধরনের স্টলে বামপন্থা সংক্রান্ত বইপত্তরই মেলে না। কিন্তু এবারের বইগুলি একটু আলাদা। চোখ বোলালেই বোঝা যাবে, বেশিরভাগই বই-ই সম্প্রীতির বার্তা বহন করছে।
মার্কসীয় সাহিত্যের পাশাপাশি ঠাঁই করে নিয়েছে সম্প্রীতির পাঠ্য। সিপিএম নেতৃত্ব এটা নেহাতই জনসংযোগ বলে দাবি করেছে। কিন্তু এর পিছনে রয়েছে গভীর রাজনীতি। কী রকম? বাংলায় ক্রমেই বিরোধী পরিসর দখল করছে বিজেপি। রাজ্যজুড়েই দাপট বাড়ছে তাদের। আর সেই সঙ্গে নিম্নগামী সিপিএমের রেখাচিত্র। এমতাবস্থায় বই দিয়েই যুব সমাজের রন্ধে পৌঁছতে চাইছে সিপিএম। দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের কথায়, "জরুরি অবস্থার থেকেও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে আমরা। মোকাবিলা করছে বামপন্থীরাই"।
আরও পড়ুন- হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যের পর আরও এক রাজ্যে জিত কংগ্রেসের
বাড়িতে থাকা ধুলো জমা বইয়ের বিনিময়ে অন্য বই নিয়ে যাচ্ছেন বইপ্রেমীরা। রয়েছে বই বাছাইয়ের স্বাধীনতা। চে গেভারার 'মা' এর বিনিময়ে শ্যামল চক্রবর্তীর 'ষাট সত্তর ছাত্র আন্দোলন' তুলে নিলেন এক পাঠক। ডিওয়াইএফআই সদস্য মান্ডবী ভট্টাচার্য বলেন, "এখন খুব ছোট পরিসরে কাজ শুরু করলেও যে বাড়তি বই থাকবে সেগুলো দিয়ে লাইব্রেরি করব। কিছু বই গ্রামে গ্রামে পড়ার জন্য নিয়ে যাব।"
আরও পড়ুন- কেন শিখ হত্যা-কাশ্মীরি পণ্ডিত বিতারণ নিয়ে মুখ খোলেননি? জবাব নাসিরুদ্দিনের
কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, এমন জেটগতির যুগে যেখানে মোবাইলে চলে আসে গোটা দুনিয়া, সেখানে বই কি আদৌ কাজে দেবে?