বিদ্যুৎ বণ্টনের বকেয়া টাকা নিয়ে নজিরবিহীন কাজিয়া রাজ্য সরকারের দুটি সংস্থার
বকেয়া টাকা নিয়ে নজিরবিহীন কাজিয়ায় জড়িয়ে পড়ল রাজ্য সরকারের একই দফতরের অধীনে থাকা দুটি সংস্থা। ট্রান্সমিশনের দায়িত্বে থাকা সংস্থা বকেয়া না পেয়ে রীতিমতো কড়া নোট পাঠিয়েছে রাজ্যের বিদ্যুত্ বণ্টন সংস্থাকে। চার মাসে ট্রান্সমিশনবাবদ বিদ্যুত্ বণ্টন সংস্থার বকেয়া প্রায় বিয়াল্লিশ কোটি টাকা। চিঠি পাঠিয়েও ফল হয়নি। জটকাটাতে এবারে বিদ্যুত নিয়ন্ত্রণ কমিশনে মুখোমুখি হচ্ছে দুপক্ষ।
কলকাতা: বকেয়া টাকা নিয়ে নজিরবিহীন কাজিয়ায় জড়িয়ে পড়ল রাজ্য সরকারের একই দফতরের অধীনে থাকা দুটি সংস্থা। ট্রান্সমিশনের দায়িত্বে থাকা সংস্থা বকেয়া না পেয়ে রীতিমতো কড়া নোট পাঠিয়েছে রাজ্যের বিদ্যুত্ বণ্টন সংস্থাকে। চার মাসে ট্রান্সমিশনবাবদ বিদ্যুত্ বণ্টন সংস্থার বকেয়া প্রায় বিয়াল্লিশ কোটি টাকা। চিঠি পাঠিয়েও ফল হয়নি। জটকাটাতে এবারে বিদ্যুত নিয়ন্ত্রণ কমিশনে মুখোমুখি হচ্ছে দুপক্ষ।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গ্রাহকদের বিদ্যুত্ পৌছে দেওয়ার কাজ করে ডব্লুবিএসইডিসিএল। আর এই বন্টন সংস্থার কাছে উত্পাদন কেন্দ্র থেকে বিদ্যুত্ পৌছে ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ট্রান্সমিশন কোম্পানি বা ডব্লুবিএসইটিসিএল।
ডব্লুবিএইডিসিএল এবং ডব্লুবিএসইটিসিএল, দুটি সংস্থাই রাজ্যের বিদ্যুত্ দফতরের অধীনে। এবারে তাদের মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে কাজিয়া। ইস্যু বকেয়া টাকা।
বিদ্যুত পৌছে দেওয়ার খরচটা প্রতি মাসেই ডব্লুবিএসইটিসিএলকে মিটিয়ে দিতে হয় রাজ্য বিদ্যুত্ বণ্টন সংস্থার। অথচ গত কয়েক মাসধরেই নাকি বাকি পড়ে যাচ্ছে সেই মোটা অঙ্কের টাকা। ডব্লুবিএসইডিসিএলকে কড়া নোট পাঠিয়ে তাই পাওনা আদায়ের রাস্তায় নেমেছে ট্রান্সমিশনের দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি।
ডব্লুবিএসইটিসিএলের এমডির জুন মাসের এক গোপন নোটে দেখা যাচ্ছে , গণ্ডগোলটাশুরু হয় ফেব্রুয়ারির পর থেকে। প্রথমে নির্ধারিত দিনের প্রায় ষাট দিন পর মেটানো হয় বকেয়া টাকার পঁচাশি শতাংশ। তারপর থেকে আর কিছুই মেলেনি। জুন মাসের মাঝামাঝি মোট বকেয়া টাকার পরিমাণ ছিল একচল্লিশ কোটি ষাট লক্ষ। বকেয়া আদায়ে তাগাদা যে কাজে আসছেনা তা বোঝা গিয়েছে ডব্লুবিএসইটিসিএলের নোটেই। এবারে তাই বিদ্যুত নিয়ন্ত্রণ কমিশনে নালিশ জানানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ট্রান্সমিশন কোম্পানি।
বকেয়া টাকা না পেয়ে এক নজিরবিহীন সংঘাতের মুখে রাজ্যের একই দফতরের অধীনে থাকা দুটি সংস্থা। আগামী দিনে বিদ্যুত্ দফতরের অন্দরের যে লড়াই নিঃসন্দেহে অস্বস্তি বাড়াতে পারে রাজ্য সরকারের।