উপনির্বাচনেও রাজ্য পুলিসে ভরসা নেই কমিশনের? মাত্র ৩টি কেন্দ্রের ভোটেই বিশাল বাহিনী
শুধু তাই নয়, তিন কেন্দ্রেই পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তিনটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনেও যথেষ্ট সংখ্যক বাহিনী দিয়ে করাতে তত্পর নির্বাচন কমিশন। আর তা নিয়ে লোকসভা ভোটের মতো ফের কমিশন-রাজ্য সংঘাত উঠল তুঙ্গে। ১৫ কোম্পানি বাহিনীর পরিবর্তে উপনির্বাচনে ২০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। বাড়তি বাহিনী আনা হচ্ছে জঙ্গলমহল থেকে। কমিশনের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট শাসকদল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, কমিশন নিরপেক্ষ তো!
করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ ও খড়্গপুর সদর- সোমবার রাজ্যের ৩ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তবে এই ভোটেও রাজ্য পুলিসের ওপর পুরোপুরি ভরসা রাখছে না নির্বাচন কমিশন। বাহিনী বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০ কোম্পানি। উপনির্বাচনের জন্য তিন কেন্দ্রে ৫ কোম্পানি করে মোট ১৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন হবে। করিমপুরে ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। বাড়তি বাহিনী জঙ্গলমহল থেকে সরিয়ে পাঠানো হচ্ছে করিমপুরে।
শুধু তাই নয়, তিন কেন্দ্রেই পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের তত্ত্বাবধানে তিন কেন্দ্রে টহল দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে বেজায় অসন্তুষ্ট তৃণমূল। তারা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কমিশনকে চিঠি পাঠাচ্ছে।
উপনির্বাচন হলেও, তৃণমূল ও বিজেপি তিনটি আসনই নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া। সিপিএম-কংগ্রেস জোটও জোর টক্কর দিতে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করেছে। কালিয়াগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক প্রমথনাথ রায়ের মৃত্যুতে এই আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র এবং বিজেপির দিলীপ ঘোষ সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় করিমপুর এবং খড়্গপুর আসন দু’টি খালি হয়েছে।
বড় ভোট নয় ঠিকই। কিন্তু কমিশনের কাছে উপনির্বাচনে প্রত্যেক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়েছিল বিজেপি। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, বিজেপির আর্জি মেনেই শেষ মুহূর্তে বাহিনী বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ৩ কেন্দ্র মিলিয়ে এই উপনির্বাচনে মোট বুথ রয়েছে ৮০১টি কালিয়াগঞ্জে ২৭০, করিমপুরে ২৬১ এবং খড়্গপুর সদরে বুথসংখ্যা ২৭০। ১০০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি ছিল বিরোধীদের
তৃণমূলের প্রশ্ন, জঙ্গলমহল থেকে হঠাত্ বাহিনী সরানো হচ্ছে কেন? করিমপুরে বাড়তি বাহিনীর দরকারটাই বা কী? যদিও কমিশন সূত্রের খবর, ভোটের দিন কোনও রকম নিরাপত্তায় ফাঁক রাখতে চাইছেন না তাঁরা। সে কারণেই বাড়তি নিরাপত্তা।
আরও পড়ুন- আমি একবার বলাতেই শেখ হাসিনা চলে এসেছেন, ওনাকে ধন্যবাদ: সৌরভ